নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনা সংক্রমণের চোখরাঙানির মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের শর্তসাপেক্ষ অনুমতিতে আয়োজিত হচ্ছে চলতি বছরের গঙ্গাসাগর মেলার। ইতিমধ্যেই মেলায় যোগ দিতে বাবুঘাটের অস্থায়ী শিবিরে জড়ো হতে শুরু করেছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা পূণ্যার্থীরা। বুধবার বাবুঘাটে গঙ্গাসাগরে যাওয়া পূণ্যার্থীদের উদ্দেশে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন, ‘আদালতের অনুমতি নিয়ে মেলা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। কেউ নিয়ম ভাঙবেন না। পারলে ডাবল মাস্ক পরুন।’ সেই সঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আরটি-পিসিআর টেস্ট ছাড়া কাউকে গঙ্গাসাগরে যেতে দেওয়া হবে না।’
এদিন দুপুরে প্রথমে জন্মদিন উপলক্ষে মানিকতলার সিমলায় গিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটেয় শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে সটান চলে যান বাবুঘাটে। গঙ্গাসাগরে যাওয়া পূণ্যার্থীদের অস্থায়ী শিবির পরিদর্শন করেন। পরে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন, ‘আদালতের অনুমতিতে মেলা হচ্ছে। আদালতের যথেষ্ট কড়াকড়ি রয়েছে। কেউ নিয়ম ভাঙবেন না। করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে নিজেদের সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক অবশ্যই পরবেন, পারলে ডাবল মাস্ক পরুন। স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।’
গঙ্গাসাগর মেলা কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গাদাগাদি করে লোক পাঠাবেন না। যাঁরা যাবেন, তাঁদের প্রত্যেকের আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে। পরীক্ষা ছাড়া কাউকে পাঠানো যাবে না।’ রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় পুলিশ-প্রশাসন-স্বাস্থ্য কর্মীরা যেভাবে লড়াই করছেন, তার প্রশংসা করে মমতা বলেন, ‘প্রতি ঘরে ঘরে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন মন্ত্রী-আমলারা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা মোকাবিলায় জীবন দিয়ে কাজ করছেন। এটা হইহুল্লোড় করার সময় নয়। যাঁদের উপসর্গ রয়েছে তাঁরা দয়া করে গঙ্গাসাগরে যাবেন না। বিহার, উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যের মানুষ গঙ্গাসাগরে যাচ্ছেন। তাই সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। কোভিড আমাদের হাতে নেই। একটা বাসে একজন করোনা রোগী থাকলে সবার ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই টেস্ট করাটা বাধ্যতামূলক। যার সর্দি-কাশি আছে তাকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে হবে। তাতে সঙ্গে সঙ্গেই হাতে রিপোর্ট এসে যাবে। সচেতন হয়েই গঙ্গাসাগর মেলায় যান। মেলা কমিটি আপনাদের পাশে রয়েছে।’