সম্ভল: উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলায় মুঘল আমলের শাহি জামা মসজিদের আদালতের নির্দেশিত সমীক্ষাকে ঘিরে ব্যাপক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়। এই হিংসার ঘটনায় নতুন করে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। সম্ভলের হিংসায় দায়ী প্রাক্তন সিজেআই বলেও অভিযোগ করেছেন সমাজকর্মী থেকে রাজনীতিবিদরা।
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির দেওয়া একটি রায়ের প্রসঙ্গ তুলে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিশিষ্টরা। তাদের অভিযোগ, জ্ঞানবাপী মামলায় চন্দ্রচূড়ের রায় ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনকে দুর্বল করেছে। যার ফলে হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত আদালতগুলি ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থানগুলিতে জরিপ ও তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে। আইনটি ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭-এর বিদ্যমান যে কোনো উপাসনালয়ের চরিত্রের পরিবর্তন নিষিদ্ধ করেছে।
১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় উপাসনাস্থল আইন প্রণয়ন করা হয়। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী চরম উদ্বেগের এবং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর উপর আঘাত বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদরা। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করেছেন দেশের বাম নেত্রী সুভাষিণী আলি। তিনি এক্স-এ বলেছেন, “চন্দ্রচূড়ের উত্তরাধিকার: জ্ঞানবাপী, মথুরা ঈদগাহ, এখন সম্ভল মসজিদ…পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারালেন পাঁচ যুবক। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কি শুনছেন? তিনি কি এসব নিয়ে চিন্তা করেন?”
১৫২৯ সালে একটি হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল বলে একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি সিভিল কোর্ট মসজিদটি জরিপ করার নির্দেশ দেয়। মসজিদটির ‘প্রাথমিক জরিপ’ করার সময় স্থানীয়রা বিরোধিতা করলে সহিংসতা শুরু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তেজিত জনতা পাথরও ছোড়ে। সমীক্ষা শেষ হওয়ার পর পাথর ছোঁড়ার তীব্রতা বাড়লে পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে ৫ যুবক নিহত হয়। এই হত্যাকাণ্ডকে মুসলিমদের ওপর ‘রাষ্ট্রীয় মদদে হামলা’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন বিরোধীরা।