Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন

সরকারি হস্তক্ষেপে আবাসনের বাইশ বিঘে জমি ফেরত আদিবাসীদের

Bipasha Chakraborty

Published: 13 July, 2024, 05:31 PM
সরকারি হস্তক্ষেপে আবাসনের বাইশ বিঘে জমি ফেরত আদিবাসীদের

দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: প্রায় চল্লিশ জন আদিবাসী ও চাষীদের পাট্টাদেয়া জমি মাফিয়া হাত বদল হয়ে বোলপুরের অদূরে গড়ে ওঠে বেসরকারি আবাসন। নাম সবুজপত্র। এই আবাসন গড়ে ওঠে আদিবাসীদের বাইশ বিঘা জমির উপর। কোথাও নাম মাত্র দাম দিয়ে, আবার কোথাও হুমকি দিয়ে আদিবাসীদের জমি হাতিয়ে নেয় জমি হাঙররা। সারা রাজ‍্যে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যের খবর মুখ‍্যমন্ত্রীর কানে আসতেই, জমি মাফিয়াদের হুশিয়ারি দেন মুখ‍্যমন্ত্রী। তারপরই সারা রাজ‍্যের সাথে নড়েচড়ে বসে বীরভূম জেলা প্রশাসন। বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায় সহ ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা সরেজমিনে সবুজপত্র আবাসনে তদন্ত করেন। তারপর দেখা যায় যে আদিবাসীদের পাট্টা দেওয়া জমি বেআইনিভাবে দখল করেছে আবাসন কর্তৃপক্ষ। তারপর সরকার সেই জমি অধিগ্রহণ করে নথিভুক্ত পাট্টাদারদের হাতে জমি ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এব‍্যাপারে জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, পাট্টাদারদের হাতে জমির কাগজ তুলে দেওয়া হবে। সবুজপত্র আবাসনের কর্ণাধার সুবর্ণা মুখোপাধ‍্যায়কে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি বা প্রত‍্যুত্তর করেন নি। 

এদিন নাকাড়া বাজিয়ে ও হাল লাঙল নিয়ে বিরসা মুণ্ডার জয়ধ্বনি দিতে দিতে আদিবাসীরা  মিছিল করে সবুজপত্র আবাসনের পাশে ধর্ণায় বসেন। এদিন চাঁদ হাঁসদা, রাবন মুর্মূ, আশীষ রাই খাটোয়ালরা বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অনুমতিক্রমে ধর্ণায় বসেন। তাঁরা বলেন, হুমকি দিয়ে আমাদের কারো বারো কাঠা, কারো এক বিঘে করে সরকারি পাট্টা জমি বেদখল করেছে আবাসনের লোকেরা। আমরা এতদিন ভয়ে মুখ খুলিনি। এবার সরকার পাশে থাকায় আমরা প্রতিবাদ শুরু করেছি।

এরফলে বাধ্য হয়ে আবাসন কর্তৃপক্ষ দখল হওয়া ২২ বিঘা জমির উপর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে৷ 

অন্যদিকে, বীরভূম জেলা শাসকের নির্দেশ তদন্ত শুরু করে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর৷ 

 রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর বীরভূমের পাঁড়ুই থানার সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েতের সরপুকুরডাঙ্গা গ্রামে আদিবাসী ও চাষিদের প্রায় ২২ বিঘা পাট্টা, বর্গা ও চাষের জমি দখলের অভিযোগ ওঠে৷ সেই জায়গায় গড়ে ওঠে 'সবুজপত্র' নামে একটি বিলাসবহুল আবাসন।  জমি ফিরে পেতে বীরভূম জেলা শাসক থেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের অভিযোগ জানিয়েছেন তারা।

Leave a comment