রহমতুল্লাহ, মুর্শিদাবাদ: মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান রীতিমতো তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিক্ষোভকারীদের সরাতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটাই। তারপরেই বুধবার বাংলা বনধের ডাক দেয় বিজেপি। মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ 143 নম্বর তেঁতুলতলা রেলগেট অবরোধ করতে চাইলে ট্রেনের গতি থাকায় সেখান থেকে সরে আসে কর্মীরা। ট্রেন পুরোপুরি প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগেই মুর্শিদাবাদ স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফর্মের রেললাইনে শুয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। ভাগীরথী এক্সপ্রেস থামিয়ে দেন লোকো পাইলট। দুটি বগি প্লাটফর্মের বাইরেই থেকে যায়। তাঁদের দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত আশ্বাস দেওয়া না হবে কেন গতকাল ছাত্রদের লাঠিচার্জ করছে, ততক্ষণ রেল অবরোধ চলবে বলে জানান বিজেপি বিধায়ক গৌরী শংকর ঘোষ।
ঘূর্ণিঝড়,কোটাল ও নিম্নচাপে আতঙ্কে সুন্দরবনের মানুষ
হাওড়ায় গোডাউনের ছাদ ভেঙে দুর্ঘটনা, আটকে তিন শ্রমিক, উদ্ধার ১
রোগগ্রস্ত মুরগি ঢুকছে বাংলায়, বার্ড ফ্লু'য়ের আশঙ্কায় সীমানা সিলের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
ট্রেনের মধ্যে আটকে পড়ে বহু রেলযাত্রী এরমধ্যে জিয়াগঞ্জের এক রেল যাত্রী রাজু হালদার বহরমপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করার জন্য ট্রেন ধরেছিলেন, মুর্শিদাবাদ স্টেশনে এই ঘটনা দেখে ট্রেন থেকে নেমে সামনে বিক্ষোভকারীদের সামনে চলে আসেন, এবং বিজেপির কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন আমাকে ৫০০টাকা দিন, আমার কাজের ক্ষতি হচ্ছে।
তার কথা শুনেই বিজেপি কর্মীরা তার দিকে তেড়ে গিয়ে তাকে বেধরক মারধর শুরু করেন পুলিশের সামনেই। মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ ও আরপিএফ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রায় এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর সাড়ে সাতটার সময় ভাগীরথী এক্সপ্রেস মুর্শিদাবাদ স্টেশন ছেড়ে যায়।