Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন

হাজীদের সামাজিক ও ধর্মীয় জীবন-যাপনের দিশা দিতে বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়ার মজলিস

Kibria Ansary

Published: 04 August, 2024, 06:32 PM
হাজীদের সামাজিক ও ধর্মীয় জীবন-যাপনের দিশা দিতে বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়ার মজলিস

পুবের কলম প্রতিবেদক, বারাসত: পবিত্র হজ্ব মোবারক সম্পন্ন করে আসার পর পরই নবাগত হাজীদের নিয়ে একটি সংবর্ধনা সভা ও দোয়ার মজলিসের আয়োজন করা হয় রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙ্গা হজ প্রশিক্ষণ ও পরিষেবা কেন্দ্রে। সদ্য হাজিরা পবিত্র আরব ভূমিতে গিয়ে হজের কটা দিন কীভাবে হজের হুকুম আহকাম পালন করলেন তারই অভিজ্ঞতার কথা শোনানোর পাশাপাশি  অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট আলেমে দ্বীনরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে হজ পরবর্তী সামাজিক ও ধর্মীয় জীবন যাত্রা কেমন হবে তারই দিশা দিলেন মূলত এদিন। বিশিষ্ট আলেম আলহাজ্ব মাওলানা আমিনুল আম্বিয়া বলেন, হজ করে আসলেই হবে না। হজকে ধরে রাখতে হবে। নাহলে ওই হজ আমাকে জান্নাত নিয়ে যাবে না। হজ ধরে রাখা কঠিন ব্যাপার। আমাদের পরিবেশে হজকে ধরে রাখতে হলে নেক মানুষের সোহবতে থাকতে হবে। নেককার হলেন তাঁরা যারা আল্লাহকে ভয় করে। তারাই জান্নাতের উত্তরাধিকার হবে। আর  মুত্তাকি না হলে নিজে নিজে হাজী লেখা যায় না। হজ করে এসে নিজের নামে হাজী লেখা হলে রিয়া ও আত্ম প্রচার হয়ে গেল। আমাদের সমাজে অনেকে মনে করেন হজ করে আসার পর সংসার ও সামাজিক জীবন ত্যাগ করে পুরোপুরি আখেরাতের লক্ষ্যে কেবল আধ্যাত্মিক অনুশীলন করতে হবে। এসব ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কেননা হজের পর হাজীদের জন্য সমস্ত হালাল কাজ হালাল থাকে। হারাম হয়ে যায় না। হালাল রুজি নিষেধ হয়ে যায় না। যে যে পেশায় আছি সে পেশায় থাকতে পারেন। হারাম কাজ ও রুজির সঙ্গে আপোষ করবেন না। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কয়েকজন নব্য হাজী। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গিয়ে সমস্ত পরিষেবার প্রশংসা করেন উত্তর ২৪ পরগনার ছোট গাঁথি থেকে আসা হাজী আবু বকর সাহেব। তিনি বলেন, পানীয় জল, বিদ্যুৎ পরিষেবা, পরিবহন পরিষেবা যথেষ্ট ভাল ছিল। তবে খাদিমুল হুজ্জাজদের অনেকেই অনভিজ্ঞ হওয়ায় তাদের কাছ থেকে যথাযথ পরিষেবা পাওয়া যায়নি। বক্তব্য রাখেন আমডাঙ্গা হজ প্রশিক্ষণ ও পরিষেবা কেন্দ্রের সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মোফাজ্জেল হক সাহেব, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোহাম্মদ আজিজুল হক, শাহ ফারুক আহমেদ প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব হযরত মন্ডল, কারী আমজাদ হোসেন প্রমুখ। সংস্থার সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ কাসেম আলী  জানান,সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হজ্ব প্রশিক্ষণ ও পরিষেবা প্রদানে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে আমডাঙ্গা হজ্ব প্রশিক্ষণ ও পরিষেবা কেন্দ্র। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙ্গা থানার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রায়পুর গ্রামে অবস্থিত এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হজ থেকে ফিরে আসার পর সমস্ত রকম সুবিধা-অসুবিধার কথা শেয়ার করার জন্যই প্রতিবছর এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।এদিন বক্তব্য রাখেন ও আখেরি মোনাজাত করেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফেজ কাজী আরিফ রেজা।

রাজ্য - এর থেকে আরোও খবর

Special discussion meetings prayer majlis to guide social and religious life of Hajis

Leave a comment