উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: ভারতবর্ষে প্রথম পুকুরভিত্তিক সুইমিং পুলে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ শিবির চালু হলো  সোমবার। সুন্দরবনের গ্রামাঞ্চলে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার সারা বিশ্বের মধ্যে প্রথম। আর সেই শিশু মৃত্যুর হার কমাতে এবার এগিয়ে এলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু'।

তাদেরই উদ্যোগে সিনি সংস্থার ব্যবস্থাপনায় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত কুলতলি  বিধানসভার মৈপীঠ কোস্টাল থানার বৈকন্ঠপুরে পুকুর ভিত্তিক সুইমিং পুলে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণের কাজ শুরু  করা হল। শহরে সাঁতার শেখার ব্যবস্থা থাকলেও গ্রামে সেই ব্যবস্থার খুবই অভাব আর এই ভাবনা চিন্তাকে মাথায় নিয়ে ও শিশু মৃত্যুর হার কমাতে এবার সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিশুদের পুকুরে সুইমিং পুলের মধ্যে দিয়ে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করা হল। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় জলে ডুবে শিশু মৃত্যু বেড়ে চলেছে।

সোমবার কুলতলির মৈপীঠ কোস্টাল থানার বৈকুন্ঠপুর শিশু সেবা কেন্দ্রে ও ভুবনেশ্বরীতে সিনির ব্যবস্থাপনায় ও  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুর উদ্যোগে দুটি পুকুর ভিওিক সুইমিং পুলের উদ্বোধন করা হয়।এদিনের এই শিবিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুর সদস্য ডা: বি মোহাম্মদ আসিল, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষে ডা: মানস প্রতীম  রায়, সিনির মৈপীঠ শাখার প্রতিষ্ঠাতা ডা: সমীর নারায়ণ চৌধুরী,দ্য জর্জ ইনস্টিটিউট গ্লোবাল হেলথ এর সদস্য ডঃ জগনুর, বারুইপুর মহকুমা স্বাস্থ্য ও আধিকারীক ডা: ইন্দ্রনীল মিত্র,কুলতলি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: অবন্তিকা মন্ডল, সিনির রাজ্যের দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক সুজয় রায় সহ আরো অনেকে।

এ দিন এ প্রসঙ্গে সুজয় রায় বলেন, আগামী দিনে সুন্দরবনের প্রতিটা ব্লকে এমনই কর্মসূচি পালন করা হবে।সুন্দরবনের পুকুরে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করার পাশাপাশি পুকুরে সুইমিং পুলের মধ্যে দিয়ে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।এরই পাশাপাশি মৈপীঠের এই কেন্দ্র থেকে কবচ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে শিশুদের পড়াশোনা ও শেখানো হচছে।

এই সাঁতার প্রশিক্ষণ ২১ দিনের ক্লাসের মধ্যে দিয়ে এক একটি গ্রুপে ৬ -৮ জন শিশুকে নিয়ে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।এদিন দুটি কেন্দ্রেই এই প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হলো।তাছাড়া এদিন ভুবনেশ্বরীতে শিশু মৃত্যু কমাতে সচেতনতা মূলক একটি পদযাত্রা ও বের হয়।যাতে শিশুরা,শিশুদের মায়েরা সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা অংশ নেন।