পুবের কলম প্রতিবেদক: সপ্তাহখানেকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সংরক্ষণ আন্দোলন ঘিরে এক যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে আগেই ঘোষণা করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকা মিতালি এক্সপ্রেস। এবার বাতিল হল মৈত্রী এক্সপ্রেসও। রেলের তরফে সোমবার এমন ঘোষণাই করা হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে পুরো ভাড়াই ফেরত পাবেন যাত্রীরা।
প্রসঙ্গত, সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তোলপাড় বাংলাদেশ। সংরক্ষণের বিরোধিতায় পথে নেমেছে সে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ। যাদের সিংহভাগই পড়ুয়া বলে দাবি। রবিবার সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট এই সংরক্ষণ ইস্যুতে বড় নির্দেশও দেয়। জানিয়ে দেয় ৯৩ শতাংশ নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে হবে, ৭ শতাংশ হবে সংরক্ষণের ভিত্তিতে। এর মধ্যে আবার ৫ শতাংশ থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য, ১ শতাংশ অন্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য, ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য। 
তবে তারপরও অশান্তির আগুন যে স্তিমিত, তেমনটা একেবারেই নয়। এখনও অবধি ১৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। রবিবারও নতুন করে অশান্তি হয়েছে। মৃত্যুও হয়েছে। ওপার বাংলার এই অশান্তির প্রভাব পড়েছে পেট্রাপোল বেনাপোলে আমদানি রফতানির ক্ষেত্রে। একইভাবে বাংলা-বাংলাদেশ রেলযাত্রাতেও তার প্রভাব দেখা গিয়েছে। সোমবারও পরিস্থিতি তেমন কোন উন্নতি হয়নি। গত রবিবারের দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এখনো অসন্তোষ রয়েছে ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এখনো সময় লাগবে সেটাই মনে করা হচ্ছে। 
এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় রেল রেল জানিয়ে দিল আপাতত দু’দিন কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস বাতিল করা হচ্ছে। বাতিল থাকছে ১৩১০৮ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস, ১৩১০৭ ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস, ১৩১০৯ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস। রেল জানিয়েছে, পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই  ২২ জুলাই ও মঙ্গলবার ২৩ জুলাই কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। 

রেল জানিয়েছে, যাঁরা এই তিন মৈত্রী এক্সপ্রেসের টিকিট কেটেছেন, তাঁরা টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন। যদিও তার জন্য কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বিশেষ টিকিট কাউন্টার থেকেই। টিকিট হারিয়ে গেলে তাঁকে টাকা ফেরানো হবে না বলে রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত কলকাতা -ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস এর টিকিট কলকাতার চিৎপুর স্টেশন থেকেই বেশিরভাগ সময় ক্ষেত্রে কেটে থাকেন যাত্রীরা, ফলে সেই কাউন্টার থেকেই টাকা সংগ্রহ করতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।।