বেইরুট, ১৯ নভেম্বরঃ ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য লেবানন সফর করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূত আমোস হোচস্টেইন। মঙ্গলবার মার্কিন দূত লেবাননের বৈরুতে পৌঁছেছেন। হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই বেড়ে যাওয়ায় জো বাইডেনের প্রশাসন যুদ্ধবিরতির শেষ চেষ্টা করছে।
গত সোমবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তি করা হলেও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাবে ইসরাইল। তবে লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকারের সহযোগী নাবিহ বেরি বলেন, লেবানন সরকার এবং হিজবুল্লাহ উভয়ই লিখিতভাবে জমা দেওয়া মার্কিন প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। প্রস্তাবে হিজবুল্লাহকে লিটানি নদীর উত্তরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে সরে যাওয়া, লেবাননের মাটি থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষীদের পাশাপাশি দেশের দক্ষিণে লেবাননের সেনাবাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার জরুরি বিভাগের কর্মীরা বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হওয়ার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করছেন। এদিকে হিজবুল্লাহ তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে সাতজনকে আহত করেছে।
লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নবীহ বেরির সহকারী আলী হাসান খলিল বলেছেন, সোমবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে তাদের লিখিত জবাব জমা দিয়েছে লেবানন। হোয়াইট হাউসের দূত আমোস হোচস্টেইন বৈরুতে আলোচনা অব্যাহত রাখতে এসেছেন। খলিল বলেন, লেবানন ইতিবাচক পরিবেশে প্রস্তাবটির ওপর তাদের মন্তব্য তুলে ধরেছে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এই উদ্যোগের সাফল্য এখন ইসরাইলের ওপর নির্ভর করছে। যদি ইসরাইল সমাধান না চায়, তাহলে তারা ১০০টি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।