পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাতের মধ্যে দিয়েই শুক্রবার শুরু হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন। আগামীকাল দুপুর দু’টোয় রাজ্য বিধানসভায় বক্তব্য রাখবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তার আগেই বিধানসভায় উপস্থিত হতে বলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়ককে। বাজেট অধিবেশনের উপর সরকারের ভাগ্য নির্ভর করে। আর সে কারণেই রাজ্যপালের ভাষণ এবং বাজেট বক্তৃতার দিন সরকারের তরফ থেকে হাজিরার জন্য হুইপ জারি করা হয়।
সেইমতো এবারও সরকার পক্ষের তরফে বিধানসভায় হাজিরার জন্য শাসক দলের সদস্যদের হুইপ জারি করা হয়েছে। এই হুইপে বলা হয়েছে কাল দুপুর সাড়ে বারোটার মধ্যে অবশ্যই সমস্ত শাসকদলের বিধায়ককে বিধানসভায় উপস্থিত হতে হবে। এই মুহূর্তে শাসকদলের ২১০ বিধায়ককে এই দিন উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
অধিবেশনের আগে নতুন বিধায়কদের নিয়ে বসবে তৃণমূল পরিষদীয় দলের নেতারা। সেখানে কিভাবে প্রশ্ন করতে হয় অধিবেশন চলাকালীন নতুন বিধায়কদের কিভাবে কাজকর্ম সামলাতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হবে।
এদিকে রাজ্য এবং রাজ্যপাল সংঘাতের আবহে এবার বিধানসভায় তার বক্তব্য পেশ করবেন রাজ্যপাল। এই অবস্থায় শাসকদলের তরফ থেকে সব ধরনের সর্তকতা নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ বিধানসভায় পৌঁছবেন রাজ্যপাল। গেটেই তাকে অভ্যর্থনা জানাবেনতো অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার ৩ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকবে তাঁর কনভয়। রেওয়াজ মতো বিধানসভার গাড়ি বারান্দা থেকে স্পিকার অধিবেশন কক্ষে নিয়ে যাবেন রাজ্যপালকে। এর পরে ভাষণ দেবেন তিনি। সরকার পক্ষ যা লিখে দিয়েছে সেটাই ভাষণে পড়ার রেওয়াজ রাজ্যপালের। সেই ভাষণের কোনও অংশ চাইলে পড়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। একইসঙ্গে প্রয়োজন হলে এর সঙ্গে বাড়তি বক্তব্যও জুড়তে পারেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে বিধায়কদের এর বিরুদ্ধে মতামত রাখার অধিকার রয়েছে। মনে করা হচ্ছে মূলত সেই কারণে আরও বেশি করে সকলকে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। এখন দেখার আগামীকাল রাজ্যপালের ভাষণ পর্বটি শাসক বনাম রাজভবনের যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয় কিনা।