পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্য সরকার বেশ কিছুদিন ধরেই স্কুল পড়ুয়াদের জন্য করোনার টিকাকরণের বন্দোবস্ত করেছে। ৩ জানুয়ারি থেকে রাজ্যের সব স্কুলেই টিকাকরণের কাজ চলছে। তবে সেই কাজ সন্তোষজনক নয়। টিকা থেকে বাদ পড়ছে বহু পড়ুয়া। এবার সেই টিকা-ছুটদের খোঁজ নেবে স্বাস্থ্য ভবন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর– এখনও পর্যন্ত ২৩ লক্ষ কিশোর-কিশোরীর টিকা প্রদান হয়েছে। বকেয়া রয়েছে আরও প্রায় ২৫ লক্ষ।
স্বাস্থ্য দফতরের একাংশের বক্তব্য– এখন ওই ১৫ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ১ লক্ষ টিকাকরণ হচ্ছে। কিন্তু তা দু’সপ্তাহের মধ্যে অন্তত ৩০ লক্ষ হওয়া উচিত।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর– বর্তমানে রাজ্যে দৈনিক এক লক্ষের মতো করোনা টিকাকরণ হচ্ছে। তবে কোনও দিন এমনও গিয়েছে– যেদিন মাত্র ১০ হাজার টিকাকরণ হয়েছে। দফতরের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য– যখন এই কর্মসূচি শুরু হয়েছিল– তখন কেবল ৯০০ টি সেন্টার ছিল। তারপর সেটা অন্তত ১৫০০ টি সেন্টার হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। মনে করা হচ্ছে– রাজ্যে ১৫০০টি সেন্টার হলে দিনে ২ লক্ষের বেশি টিকাকরণ হত। সেটাই হওয়া উচিত। পরিসংখ্যান বলছে– রাজ্যে ১৫-১৭ বছর বয়সী ৪৮ লক্ষ কিশোর-কিশোরী রয়েছে। জানুয়ারির মধ্যেই সবার টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে চেয়েছিলেন আধিকারিকরা। তবে টিকার যা গতি– তাতে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। জানা গিয়েছে– টিকাকরণের হার বাড়ানো নিয়ে জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। স্কুল শিক্ষা দফতর ও জেলার আধিকারিকদের নিয়ে আগামী দিনে আরও সক্রিয় হওয়ার কথা ভাবছে স্বাস্থ্যভবন।