পুবের কলম প্রতিবেদকঃ পিছিয়ে পড়া মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আইএএস–ডব্লিউবিসিএস এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় জন্য বিনামূল্যে কোচিংয়ের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। একই ভাবে কলেজে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় যাতে মেধাবী ও পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীরা সহজে নেট-সেট উত্তীর্ণ হতে পারে তার জন্য বিশেষ কোচিংয়ের উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
কিছুদিন আগে সেই ব্যবস্থা চালু হলেও মাঝে বন্ধ হয়ে যায়। এখন করোনা পরিস্থিতি চলছে। কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাসও চালু হয়েছে। পুনরায় কোচিং চালু বলে জানিয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিস্টেম ম্যানেজার অধ্যাপক সমীর চন্দ্র দাস। তিনি জানান, ইউজিসির ‘মারজি’ স্কিমের ফান্ডে এই কোর্স করানো হয়। ওবিসি-এসসি–এসটি এবং পিছিয়ে পড়া দুস্থ ছেলেমেয়েদের ফ্রি কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এই নিয়ে ইউজিসিকে পুনরায় অবগত করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং যাঁরা বিভিন্ন সংস্থায় যুক্ত রয়েছেন, অথবা প্রাক্তন সরকারি কর্মচারীদের নিয়ে প্রিটেস্ট কোচিং করানো হবে। সাধারণ ক্লাস শেষ হওয়ার পর বিকেলে ক্লাস করানো হবে। মোট ৯৮টি বিষয়ে কোচিংয়ের ব্যবস্থা হবে। কলেজে চাকরি ছাড়াও অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কোচিংয়ে সহায়তা পাবে পড়ুয়ারা। শুধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী নয়, যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে ছাত্রছাত্রীদের পুরোপুরি ফ্রি’তে এই কোচিং করতে গেলে স্নাতকোত্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। তপশিলি জাতি–তপশিলি উপজাতিদের জন্য ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। ওবিসিদের জন্য প্রাপ্তনম্বরে ছাড় না দেওয়া হলেও বয়সে ছাড় রয়েছে। লেকচারার শিপের জন্য বয়সে কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই।
জুনিয়ার রিসার্চ ফেলোশিপের জন্য সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৩২ বছর এবং ওবিসি–এসসি– এসটি ছাত্রছাত্রীরা ৩৫ বছর পর্যন্ত ছাড় পাবেন।