সেখ কুতুবউদ্দিনঃ এবার প্রতিটি স্কুল পাচ্ছে রান্না-খাওয়ার ‘রুম’। ‘রুম’ হবে দু’টি মডেলে। প্রথম মডেলে থাকছে ৬০টি আসন। দ্বিতীয় মডেলে ১২০ আসন বিশিষ্ট এই রুম গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করল স্কুল শিক্ষা দফতর। এই কাজের জন্য রাজ্যের ২ হাজার ৫০০ প্রাইমারি স্কুল এবং ১ হাজার ৬৭৫টি আপার প্রাইমারি স্কুলকে সিলেক্ট করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে দুটি মডেলে হবে প্রোগ্রাম। একটি ৬০ আসন বিশিষ্ট। অন্যটি ১২০ আসনের। স্কুলগুলিকে বলা হয়েছে, এই কাজের জন্য ১৫ নভেম্বরের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে। কিচেন রুম তৈরির কাজ ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
রান্নার রুম তৈরির কাজ প্রতিটি জেলার সমষ্টি উন্নয়ন দফতরের মাধ্যমে করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্কুলের এক সহকারী প্রধানশিক্ষক বলেন, ছেলেমেয়েদের মাঠে বারান্দায় খেতে হত। কোনও কোনও স্কুলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাওয়া-দাওয়া করতে হত। এতে বহু পরিবারের ছেলেমেয়েরা মিড-ডে মিলের প্রতি অনীহা দেখাত। সেই সমস্যা সমাধান হবে। স্কুল শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, স্কুলে ক্লাস রুম বা প্রাঙ্গণের মধ্যেই মিড-ডে মিল খাওয়ানোর সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল পড়ুয়াদের। খাওয়া-দাওয়ার পর ক্লাস করানোয় সমস্যা হচ্ছিল। বহু পড়ুয়া খাওয়ার পরের দুর্গন্ধ সহ্য করতে পারছিল না। ক্লাস করার সময় অনেকের শারীরিক সমস্যা হত। পড়ুয়াদের এই সমস্যার মধ্যে যাতে পড়তে না হয়, তার জন্য রাজ্যের শিক্ষা দফতর এই উদ্যোগ নিয়েছে।
সর্বশিক্ষা মিশনের এক আধিকারিক বলেন, স্কুলের চাহিদা অনুসারে টাকা দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে এই রুম তৈরি করার জন্য স্কুলের ছাত্র সংখ্যার উপর বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে। সর্বশিক্ষা মিশনের তত্ত্বাবধানে এই স্কুলগুলি পরিচালনা হচ্ছে। কোনও স্কুল যদি ১২০ জনের বেশি বরাদ্দ চায়– তারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শিক্ষকনেতা কালাম মণ্ডল বলেন, এতে ছাত্রদের সুবিধা হবে। ক্লাস স্কুলের কাজ বন্ধ রেখে খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত করতে হত। এখন আলাদা রুম করা হলে সেখানেই খাওয়া-দাওয়া করতে পারবে পড়ুয়ারা। যেখানে রান্না করা হত, খাওয়ানো হত। সেখানে এক সঙ্গে খাওয়ানো যেত না। আলাদা রুম তৈরি করা হলে ভালো হবে।
ইতিমধ্যে কিছু স্কুলে আলাদা রান্না-খাওয়ার রুম রয়েছে। এতে স্কুলের পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।