পুবের কলম প্রতিবেদকঃ বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল তফসিয়ার মজদুর পাড়ার একটি বস্তির বেশকিছু ঝুপড়ি। শুক্রবার বেলা বারোটা নাগাদ আগুন লাগে ওই ঝুপড়িতে। ক্রমে সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য ঝুপড়িতেও। আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে সেখানে পৌঁছায় ৪টি দমকলের ইঞ্জিন পরে আরও আরও দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে।
দমকল সূত্রে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দমকল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ তপসিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে মজদুর পাড়ার ওই বস্তিতে আগুন লাগে। মজদুর পাড়ার খালের ধারের ওই বস্তি থেকে আচমকাই কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই কালো ধোঁয়ায় সম্পূর্ণ ভরে যায় ওই এলাকা। এরপরেই সেখানে দেখা যায় আগুনের লেলিহান শিখা। আগুন লাগার খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকল কর্মীরা। দমকল কর্মীরা জানান, সেখানে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়েই ঝুপড়ি থেকে নিরাপদ স্থানে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। এলাকা ঘিঞ্জি থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের।
বস্তির বাইরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ভিতর আগুন নেভানো হয়। তারা যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় ১৫ থেকে ১৬টি ঝুপড়ি পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে পৌঁছান রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধায়ক জাভেদ খান। সেখানে গিয়ে তিনি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ দেখার পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।
জাবেদ খান জানান, যে সমস্ত ঝুপড়িবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের আর্থিক সাহায্য করা হবে। সেই সঙ্গে কি কারণে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি এদিন এর আগুন এর ফলে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানান। একই সঙ্গে ওই এলাকায় একটি পাউডারের গোডাউন রয়েছে, যেটি অবৈধ বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। প্রয়োজনে মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত এই অগ্নিকাণ্ডের পরে পরে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। তবে সেগুলি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই এদিনের আগুনে যারা সর্বস্ব হারিয়েছেন তারা ভষ্মীভূত ছাই সরিয়ে সেই সময়টুকু এখনো ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা খুঁজে চলেছেন। কেউ জমানো টাকা হারিয়েছেন কেউ আবার ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র এদিনের আগুনে হারিয়েছেন।