পুবের কলম প্রতিবেদকঃ মা উড়ালপুলের নিকাশি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্য । রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই উড়ালপুলের নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর জন্য ইতিমধ্যেই এক কোটি ১১ লাখ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। দেখতে দেখতে পরমা তথা মা উড়ালপুলের বয়স বাড়ছে। ইতিমধ্যেই শহরের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উড়ালপুলের কোথাও দেখা গিয়েছে গজিয়ে উঠেছে গাছ। কোথাও নিকাশীর জন্য ব্যবহৃত পাইপলাইন ভেঙে গিয়েছে। কোথাও আবার বাইরের লৌহ আবরণে ধরেছে জং। কিন্তু শহর এবং শহরতলীর মধ্যে যোগাযোগ সৃষ্টিকারী সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এই উড়ালপুলের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কোনো খামতি চায়না পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। আর সে কারণেই উড়ালপুলের রক্ষণাবেক্ষণকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার। সাধারনত এই উড়ালপুলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কেএমডিএ। কেএমডিএর আধিকারিকেরা এই উড়ালপুলকে জলের হাত থেকে বাঁচিয়ে এর স্থায়িত্ব আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে চাইছে। ইতিমধ্যেই কেএমডিএর তরফ নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে যাতে কলকাতার দীর্ঘতম এই উড়ালপুলকে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়।
দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই পাইপ লাইন সহ বিভিন্ন কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এই সংস্কারের পাশাপাশি চীনা মাঞ্জায় নাগরিকদের আহত হওয়ার ঘটনা রুখতে মা উড়ালপুলের একটা বিস্তীর্ণ অংশে ফেন্সিং করা হয়েছে। তবে যেহেতু এরপরেও দুর্ঘটনার ঘটনা একের পর এক ঘটছে। তাই আরো কিছুটা অংশে এই ফেন্সিং এর কাজ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মোটের উপর অতীতের দিনের-পর-দিন উড়ালপুল তৈরির পর তা রক্ষণাবেক্ষণ না করে ফেলে রাখার দিন এখন আর নেই। বরং নিয়ম করে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের দিয়ে উড়ালপুল গুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা যেমন করা হচ্ছে একই সঙ্গে তাঁর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন কলকাতাকে সুন্দর করতে আগামী দিনে যেমন আরো নতুন উড়ালপুল শহরে হবে, একই সঙ্গে যে সমস্ত উড়ালপুল গুলো রয়েছে সেগুলি ও সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হবে।