পুবের কলম প্রতিবেদক বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। রবিবার সকালে সাধন পান্ডের মৃত্যুতে বাংলার রাজনৈতিক মহলে নেমে আসে শোকের ছায়া। শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিরোধী নেতারাও। একইভাবে সমবেদনা প্রকাশ করে ট্যুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজ্যপাল লেখেন রাজনীতির বাইরে দু’জনের ভালো সম্পর্ক ছিল।
উল্লেখ্য ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে সাধন পাণ্ডে প্রথমে মানিকতলার একটি বেসরকারি হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রায় এক বছর ধরেই সেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বাইয়ে। ভোটের ময়দানে কোনোদিন না হারলেও মুম্বাইয়ের হাসপাতালে এ দিন সকালে জীবন-যুদ্ধে হেরে গেলেন মন্ত্রী। বাংলার অপরাজিত বিধায়ক ‘পরাজিত’ হলেন। তাঁর প্রয়াণে বাংলার রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ দিন রাজ্যপাল ট্যুইটে লিখেছেন– দুঃখের খবর আজ সকালে মুম্বইয়ে বর্ষীয়ান ক্যাবিনেটমন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। রাজনীতির বাইরে তাঁর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত সখ্যতা ছিল। ওঁর পরিবার– বন্ধুবান্ধব ও অনুগামীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। ওম শান্তি।
রাজ্যপালের পাশাপাশি শোক প্রকাশ করেছেন সাধন পাণ্ডের এক সময়ের সহকর্মী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তাঁর বার্তায় লিখেছেন– পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী শ্রী সাধন পাণ্ডের মৃত্যুতে শোকাহত। ওঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার– বন্ধু এবং অনুগামীদের সমবেদনা। বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। ওম শান্তি। বঙ্গ-বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুদারও শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন– তিনি রাজ্যের বর্ষীয়ান নেতা। তিনি অন্যদলের এবং মতাদর্শগত মিল নেই। তবে ওঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ওঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি ওঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি। এ দিকে রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে এদিন কলকাতা শহরের সমস্ত সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।