পুবের কলম প্রতিবেদক: শিক্ষিকা সংযুক্তা রায়ের বকেয়া বেতন মেটাতে হবে প্রধান শিক্ষক ও অন্য দুই টিচার ইনচার্জকে। নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে মেটানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুমোদন না মেলায় ১৩ মাসের বেশি সময় ধরে কাজে যোগ দিতে পারেননি ওই শিক্ষিকা। শিক্ষিকার বেতনও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আগেই এই মামলায় শিক্ষিকাকে ভর্ৎসনা করেছিল আদালত।
বোর্ড ওই শিক্ষিকাকে রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুলে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও ১৩ মাসের বেশি সময় ধরে তা কার্যকর করেননি ওই তিন শিক্ষক। হাইকোর্টের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষিকা স্কুলে যোগ দেন। কিন্তু তাঁকে কোন পদে নিযুক্ত করা হয়েছে তা স্পষ্ট করা হয়নি।
স্ত্রীকে খুনের দায়ে ওই স্কুলের এক শিক্ষক দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষক মহিদুর আলম হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পেয়ে পরে ফের ওই পদে যুক্ত হয়েছেন। জামিনের জন্য হাইকোর্টে তিনি অনেক তথ্য গোপন করে নিজের পক্ষে রায় পেয়েছেন বলে অভিযোগ শিক্ষিকার আইনজীবী অঞ্জন ভট্টাচার্যের। তাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছেন খুনে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে মামলায় যুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে যে মামলায় জামিন পেয়েছেন ওই শিক্ষক সেই মামলার পুরনো নথি আদালতে হাজির করতে। একইসঙ্গে ওই শিক্ষককে ব্যক্তিগত হাজিরা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৭ এপ্রিল।