পুবের কলম প্রতিবেদকঃ এবার করোনা বিধি মেনেই হবে আন্তর্জাতিক কলকাতা বই মেলা। ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। শেষ হবে ১৩ মার্চ। তার আগে প্রস্তুতি শুরু করেছে পাবলিসার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ড।
বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ৪৫ তম আন্তর্জাতিক বই মেলায় সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বইমেলা-২০২২ জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের স্বীকৃতি পেয়েছে। আগেই ঘোষণা করা হয়েছে এবারের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার ‘ফোকাল থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ’। বই মেলায় উদযাপন করা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর। পাশাপাশি বাংলাদেশ দিবসও পালিত হবে ৩ এবং ৪ মার্চ শিশু দিবস উদযাপিত হবে ৬ মার্চ। প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং অন্য দেশের পাবলিশার্সরা অংশগ্রহণ করবে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন, আমেরিকা, রাশিয়া, ইতালি, স্পেন, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, লাতিন আমেরিকা প্রভৃতি।
এ বছর প্রথম ইরান আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণ করছে। এ বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩ টা ৩০ মিনিটে বই মেলার উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন বাংলাদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী কে এম খালিদ জনপ্রিয় লেখিকা সেলিনা হোসেন, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় প্রমু’।
গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, বই মেলায় স্টল থাকছে ৬০০-এর বেশি। লিটল ম্যাগাজিনের স্টল থাকছে প্রায় দুশোর কাছাকাছি। পাশাপাশি অনলাইন ও অফলাইন পদ্ধতিতে কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল ১১ ও ১২ মার্চ করা হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের তিন প্রতিনিধি। এঁদের মধ্যে অন্যতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরি, বাংলাদেশ উপ রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান, অসীম কুমার দে, অজয় কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
এ বছরের বইমেলার প্রধান থিম থাকছে ‘বাংলাদেশ’। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এদিন বই মেলার থিমের উদ্বোধন করা হয়। থিমের স্লোগান হিসেবে রাখা হয়েছে, ‘সৃজনে মননে মানবিক দেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশ।’
বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান বলেন, বই মেলায় বাংলাদেশকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়েছে। এটা বাংলাদেশের গর্ব। এতে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।