পুবের কলম প্রতিবেদকঃ যেহেতু রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি তার বিরুদ্ধে রাজ্যসভার ভোটে কোনও প্রার্থী দেয়নি, তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ হলেন সুস্মিতা দেব। একরকম নিশ্চিত ছিল, তাও সোমবার স্ক্রুটিনি পর আনুষ্ঠানিকভাবে সাংসদ হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হল। জহর সরকারের মতোই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ হলেন সুস্মিতা। এদিন বিধানসভায় পা রেখেই এই তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন তা তিনি নিষ্ঠাভরে পালন করবেন। শুধু তাই নয় আজ থেকে এই বাংলা হল তার সেকেন্ড হোম। এদিন তিনি এও জানিয়েছেন, জীবনে প্রথমবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনও জায়গায় জয়ী হচ্ছেন তিনি, এজন্যও ধন্যবাদ জানান সুস্মিতা। এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়েই স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিয়েছেন এই মুহূর্তে দেশের প্রধান বিরোধী মুখ মমতাই। আগামীতে তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপিকে ভারত ছাড়া করার জন্য লড়াই হবে।
সাংসদ নির্বাচিত হয়ে সুস্মিতা দেব বলেন, ভাবতেই পারিনি অসমে রাজনীতি করব আর বাংলা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হব। এটা সম্ভব হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। কিন্তু আমার একটা সমস্যা রয়েছে। সংসদে আমাকে অসমের পাশাপাশি বাংলার সমস্যার কথাও বলতে হবে। এর পাশাপাশি ত্রিপুরা সহ গোটা উত্তরপূর্ব ভারতের জন্য আওয়াজ তুলতে হবে। গত অধিবেশনেও দেখেছি তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধীরা কীভাবে মোদি সরকারের ফ্যাসিজিমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। ফলে আগামীদিনে রাজ্যসভাতে তৃণমূলের যে নির্দেশ থাকবে তার উপরে ভিত্তি করেই রাজ্যসভায় কৃষক, ছোট ব্যবসায়ী, খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থে আন্দোলন করব।
সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, সংসদে বিজেপির বিরোধিতা আরও জোরদার হবে। অসম, ত্রিপুরা-সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরব। মোদি সরকার সংসদে বিরোধীদের গুরুত্ব দেয় না। সংসদের রীতিনীতি মানে না। কোনও বিল স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যায় না, বিতর্ক করতে দেওয়া হয় না। তাদের এই ধরনের আচরণের প্রতিবাদ করব। রাজ্যসভায় তৃণমূলের অন্যান্য সাংসদদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ব।
এদিন বিধানসভায় স্পিকারের কাছ থেকে জয়ের সার্টিফিকেট নিতে আসেন সুস্মিতা দেব।
জুলাই মাসের শেষেই কংগ্রেসের সর্বভারতীয় পদ ছেড়ে তৃণমূলে আসেন সুস্মিতা। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। একাধিক দায়িত্ব দেওয়ার পর, এবার তাঁকে সাংসদ করে রাজ্যসভায় পাঠাল তৃণমূল কংগ্রেস।