পুবের কলম প্রতিবেদক: বরাবরই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলার সরকার। এবারেই সেই একই চেনা ছন্দে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্যও তাদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী।
শিক্ষাক্ষেত্রে ফের একবার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর্থিক অস্বচ্ছলতা যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার পথে বাধা না হয়, তাই বুধবার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নির্বাচনের আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, একুশের নির্বাচন জিতলে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ক্রেডিট কার্ড চালু করবে রাজ্য সরকার। সেইমতো শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নয় ক্রেডিট কার্ড চালু করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার ছিল তার আনুষ্ঠানিক সূচনা। প্রতিশ্রুতি পূরণ করে এদিনই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নয়া ক্রেডিট কার্ড তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এই কার্ডের জন্য।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্পে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে পড়ুয়াদের। দেশের এবং বিদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেই ঋণের সাহায্যে পড়াশোনা এবং গবেষণা করা যাবে। কেনা যাবে শিক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, দশম শ্রেণি থেকে শুরু করে স্নাতক এমনকি, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণের জন্য পড়ুয়ারা এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। এর জন্য অভিভাবকদের কোনও কিছু বন্ধক রাখার প্রয়োজন হবে না। গ্যারান্টার থাকবে রাজ্য সরকার। ফলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই ক্রেডিট কার্ড বাড়তি সুবিধা দেবে বলেই মনে করছে নবান্ন।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন আরও জানিয়েছেন, ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাওয়া যাবে। ঋণের টাকায় স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পেশাভিত্তিক পাঠ্যক্রম, ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রম, ডক্টরাল এবং পোস্ট ডক্টরাল স্তরে গবেষণার খরচ চালানো যাবে। আর সে কারণেই এই ক্রেডিট কার্ডের বয়সসীমা ৪০ বছর রাখা হয়েছে। কোর্স ফি, টিউশন ফি, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের জন্যও ঋণ দেওয়া হবে এই কার্ডের মাধ্যমে। তবে চাকরি পাওয়ার পর এক বছরের মধ্যে ঋণশোধের পর্ব শুরু করতে হবে। আর ১৫ বছরের মধ্যে শোধ করতে হবে ঋণ। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুসারে, দশম শ্রেণির উত্তীর্ণ পড়ুয়ারা অনলাইনে এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারি-বেসরকারি সমস্ত ব্যাঙ্ক থেকেই মিলবে অর্থ।
এদিন এই মঞ্চ থেকেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান রাজ্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের ফিরিস্তিও দিয়েছেন। তিনি বলেন, সবুজ সাথী প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ১ কোটি পড়ুয়া সাইকেল পেয়েছে। ভোটের জন্য কিছু দিন কাজ বন্ধ ছিল, তবে তা আবার শুরু হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে আরও ১২ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে ২০১৯ সালের নবম শ্রেণির ৩ লক্ষ পড়ুয়া ও ২০২০ সালের ৯ লক্ষ পড়ুয়া রয়েছে। এছাড়া ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে এবছরে দ্বাদশ শ্রেণির সাড়ে আট লক্ষের বেশি পড়ুয়া ট্যাবের টাকা পেয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিবছর যাঁরা দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠবে, নিয়ম অনুযায়ী তাঁরাই পাবেন ট্যাবের ১০ হাজার টাকা।
ব্রেকিং
- ইন্তেকাল করলেন পীর এস এম আলকাদরী
- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু গেছে: ইউক্রেনের প্রাক্তন সেনাপ্রধান
- হরিয়ানায় গণনায় কারচুপি করেছে বিজেপি, হাইকোর্টে আবেদন কংগ্রেসের
- পুলিশ নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করছে, অভিযোগ তুলে শাসন থানায় ডেপুটেশন যুব ফেডারেশনের
- বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্কে গ্রামবাসী, ‘ভয় নেই’ অভয় দিল বন দফতর
- ট্রেনে তবলা বাদককে খুন-কাণ্ডে হাওড়ায় ডিআরএম-কে ডেপুটেশন দিল আইএনটিটিইউসি
- সোনারপুরের বেসরকারি স্কুলে বোমাতঙ্ক, ঘটনাস্থলে বোম স্কোয়ার্ড
- মমতা বলার পরই শুরু তৎপরতা, আলু পিয়াজের দাম কী কমবে? প্রশ্ন ক্রেতাদের
- জেলাগুলিতে শীতের আমেজ থাকলেও শহরে মিলবে না ঠাণ্ডা
- ‘ময়নাতদন্তের পরেও বেঁচে উঠল লাশ’ ঢোকানো হত চুল্লিতে, রাজস্থানে অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড
- ওবিসি শংসাপত্র বাতিল ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি: পরবর্তী তারিখ ৯ ডিসেম্বর
- ভারতকে লড়াইয়ে ফেরালেন বুমরাহ