পুবের কলম প্রতিবেদক: সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) মামলা নিয়ে এবার ডিভিশন বেঞ্চের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হল সিঙ্গল বেঞ্চ। এই ঘটনা দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচারপতি কাজ করতে পারবে কিনা, তাই খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিক দেশের প্রধান বিচারপতি এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
বুধবারই রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দুই প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রুপ ডি-গ্রুপ সি এবং নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ এবং এসএসসি উপদেষ্টা এসপি সিনহার হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ যেভাবে মঙ্গলবার সংশোধন করেছে ডিভিশন বেঞ্চ, তাতে বিচারের হাত বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, সরকারি চাকরিতে দুর্নীতি খুঁজে বার করতে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে একক বেঞ্চের হাত।
বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারের নামে দ্বিচারিতা করছে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ডিভিশন বেঞ্চে গ্রুপ সি-ডি মামলার শুনানি চলাকালীন একজন আইনজীবী মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জুম প্লাটফর্মে ভিডিও কনফারেন্সের অডিও রেকর্ড চেয়ে অনেক আইনজীবী আবেদন করেছেন।
একক বেঞ্চও চাইছে ওই অডিও রেকর্ডিং খতিয়ে দেখতে। ডিভিশন বেঞ্চের সিদ্ধান্ত পক্ষপাতদুষ্ট, সন্দেহ প্রকাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। গ্রুপ সি গ্রুপ ডি নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি খুঁজে বের করতে সিবিআই অনুসন্ধান নির্দেশে যেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে ডিভিশন বেঞ্চের বিচারে দ্বিচারিতা লুকিয়ে থাকতে পারে বলেই মনে করছে একক বেঞ্চ।
দেশের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যের প্রধান বিচারপতি হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, দুর্নীতিগ্রস্তদের সুরক্ষা দিতেই এমন পদক্ষেপ করছে ডিভিশন বেঞ্চ। সরকারি চাকরিতে দুর্নীতি খুঁজে বার করতে হাত বেঁধে দেওয়া হচ্ছে একক বেঞ্চের। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারের নামে দ্বিচারিতা করছে, কারণ ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে একক বেঞ্চ তার কাজই করতে পারছে না।
প্রশাসনিক নির্দেশে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণ, গ্রুপ সি, ডি, নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তার ভিত্তিতে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।