পুবের কলম প্রতিবেদক: ঘরের মাঠে দীর্ঘদিন ভালো খেলার পর অবশেষে চলতি বছরেই ভারতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন সরফরাজ খান। টেস্টে সুযোগ পেয়ে মাত্র ৬টি ম্যাচে অভাবনীয় পারফরম্যান্স করে কমবেশি সবাইকে অবাক করেছেন তিনি। ৬ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি, তিনটি হাফ সেঞ্চুরির মাধ্যমে ৩৭১ রান সংগ্রহ করে ফেলেছেন। টেস্টে চমকপ্রদ পারফরম্যান্স করা সত্ত্বেও জেদ্দায় সদ্য শেষ হয়ে যাওয়া আইপিএল নিলামে সরফরাজ কিন্তু ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজির কাউকেই সন্তুষ্ট করতে পারলেন না। যার ফলে তিনি নিলামে অবিক্রিত থেকে গেলেন। আর তাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন তাঁর ভক্তরা।
এবারের আইপিএল নিলামে সরফরাজের বেস প্রাইস ছিল মাত্র ৭৫ লক্ষ টাকা। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে তিনি দীর্ঘদিন ভালো পারফরম্যান্স করেছিলেন। ২০১৫ সালে প্রথম মরশুমে করেছিলেন ৪৪১ রান। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ২১ বলে ম্যাচ জয়ী ৪৫ রানের ইনিংস খেলে বিরাট কোহলির প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। যদিও পরবর্তীতে ফিটনেসের অভাব ও ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে না পারায় সরফরাজ ক্রমে দলে নিজের জায়গা হারাতে থাকেন। মূলত, তারপর থেকেই তিনি আইপিএলে আর নিজেকে ফিরে পাননি। এবারের আইপিএলে অবশ্য দল পাওয়ার ব্যাপারে কিছুটা হলেও নিশ্চিত ছিলেন সরফরাজ নিজেই। তার সাম্প্রতিক অতীতের ঘরোয়া ক্রিকেট এবং টেস্ট ক্রিকেটের পারফরম্যান্স তাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিলেন। অথচ নিলামে দেখা গেল সেই আগের চিত্র। ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদের মতে, সরফরাজ টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম পছন্দ হলেও, টি-২০তে খুববেশি কার্যকরি নন। তাই তিনি নিলামে অবিক্রিত থাকলেন। তার ছোট ভাই মুশির খানকে অবশ্য পাঞ্জাব কিংস কিনেছে মাত্র ৩০ লক্ষ টাকায়।
ভাই মুশির খান আইপিএলে দল পাওয়ায় সরফরাজ খুশি হলেও, তিনি নিজে দল না পাওয়ায় খানিকটা হতাশ হয়েছেন। জেদ্দায় নিলামে ডাক না পাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সরফরাজ একটি পোস্টে নিজের এবং ভাই মুশিরের একটি ছবি পোস্ট করেন। একই সঙ্গে ওই ছবির নীচে একটি ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘খারাপ লাগলেও, অতটাও খারাপ লাগেনি। আমার এই চোখ কান্নার জন্য লাল হয়নি। মজা তো তখন পাই, যখন আমরা হেরেও হাসি। সব সময় জিতে যাওয়া তো আসল কথা নয়।’ এই পোস্টে দুঃখ, হাসি, কান্না, হারা-জেতার প্রসঙ্গে থাকায় তার ভক্তরা কিন্তু সহজেই সরফরাজের মনের ভাষা পড়ে নিয়েছেন। একই সঙ্গে ভাই মুশিরকে সামনে আইপিএলে ভালো খেলার জন্য আগাম শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি।