পুবের কলম প্রতিবেদকঃ প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করল বোর্ড। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের তরফে বুধবার প্রকাশিত হয়েছে এই তালিকা। সূত্রের খবর– তাতে ৪৭৪ জনের নাম রয়েছে। শূন্যপদের সংখ্যা ৪৭৮। তালিকায় থাকা প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে খবর। এদিন তালিকা প্রকাশের খবরে উচ্ছ্বসিত প্রার্থীরা।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ১৬–৫০০ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাতে শুধুমাত্র ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছিল। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। দাবি করেছিলেন– ২০১৪ সালের টেটে ছ’টি ভুল প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু তা না করেই কীভাবে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে পর্ষদ? কারণ পুনর্মূল্যায়নের পর তাঁদের নম্বর বৃদ্ধি পেয়ে টেটে উত্তীর্ণ করতে পারতেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারেন। সেজন্য পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশের আর্জি জানানো হয়েছিল। তবে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট। বরং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশ দিয়েছেন– মামলাকারী প্রার্থীদের আবেদনের জন্য বাড়তি সময় বরাদ্দ করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেইমতো অফলাইন আবেদন গ্রহণ করেছিল পর্ষদ। সেই অফলাইনে আবেদনকারীদের নাম এবার মেধাতালিকায় আছে।
প্রাইমারি শিক্ষা দফতর জানিয়েছে– রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদ ছিল ৪৭৮। এদিন প্রকাশিত তালিকায় নাম উঠেছে ৪৭৪ জনের। এঁরাই প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে স্কুলে পড়ানোর সুযোগ পাবেন। তবে ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগ করা নিয়ে চাপ ছিলই। বয়সসীমা পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ করা হচ্ছে না– এই অভিযোগ তুলে চাকরিপ্রার্থীরা একাধিকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। ফলে এঁদের দ্রুত নিয়োগে তৎপর হয় সরকার। এই চাকরিপ্রার্থীরা সকলেই অফলাইনে আবেদন জমা দিয়েছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে প্রার্থীদের স্ক্রুটিনির জন্য ডেকে পাঠানো হয়। এরপর বুধবার তাঁদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করল প্রাইমারি টেটের নিয়োগকারীদের। পর্ষদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের নেতা কালাম মণ্ডল সহ অন্যান্যরা।