পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার আন্তরিক। এমনই দাবি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। রবিবার তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক চ্যানেলগুলি ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, প্রতিবেশী দেশের বৃহত্তম ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা দেওয়া বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব।
কাছাড় জেলায় একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হিমন্ত বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটছে তা দুঃখজনক। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সেখানকার ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব।’ তিনি আরও বলেন, মোদি সরকারবিভিন্ন কূটনৈতিক মাধ্যমকে কাজে লাগাচ্ছে যাতে বাংলাদেশ সরকার সে দেশের সংখ্যালঘুদের যথাযথ নিরাপত্তা দেয়।’
অসমের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘ভারতের জনগণের প্রার্থনা বাংলাদেশের হিন্দুদের সাথে রয়েছে। আমরা সবাই উদ্বিগ্ন বাংলাদেশে যে নিরাপত্তাহীনতা, হয়রানি এবং গ্রেফতারির মুখে পড়তে হচ্ছে হিন্দুদের। তবে আমরা বিশ্বাস করি যে মোদিজি তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবেন। একইসঙ্গে তিনি জানান। অসম-বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
হিমন্তর কথায়, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে যারা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছে তারা হিন্দু নয়। আপনারা সকলেই জানেন কারা আসার চেষ্টা করছে, আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশদ শেয়ার করি যখন তাদের আটক করা হয় এবং ফেরত পাঠানো হয়।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, মুসলিমদের নিশানা করেই এই মন্তব্য করেছেন হিমন্ত। যদিও বিরোধীরা অনেকেই বলছেন, হিমন্ত যেভাবে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন তা অত্যন্ত ইতিবাচক ভাবনা।
কিন্তু, তাঁর রাজ্য অসমে যখন বারেবারে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিশানা করা হয় তখন তিনি কিছু বলেন না। তাঁর সরকাই অসমে মসজিদ, মাদ্রাসায় বুলডোজার চালায়। মুসলিমদের উচ্ছেদ করে সরকারি জমি জবর দখলের অজুহাতে। বাল্য বিবাহের নামে মুসলিমদের নির্বিচারে জেলে পোরা হয়, যাদের অধিকাংশই সংখ্যালঘু মুসলিম। এছাড়াও অসমে অতীতে যেভাবে নেলি, মঙ্গলদহি, চাউলখোয়া, বরপেটায় মুসলিমদের গণহত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে কখনও সরব হতে দেখা যায়নি হিমন্তকে।