১২ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুতুব মিনার, লাল কেল্লা নিয়ে গিরিরাজের বিতর্কিত মন্তব্যে সরব বিরোধীরা

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার
  • / 57

নয়াদিল্লি: ২৫ নভেম্বর শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরা। এদিন বিরোধীরা নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আদানি, সম্ভল হিংসা ছাড়াও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা থেকে পালাতে চাইছে। প্রত্যুত্তরে ফের বেলাগাম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বিতর্কিত মন্তব্য করে বলেন, কেন কুতুব মিনার, লাল কেল্লা, বাবর, আকবর, হুমায়ুনের মতো নামের অস্তিত্ব কেন রাখা হয়েছে? এই সবকিছু সরিয়ে ফেলা উচিত।’ এরপরই প্রতিবাদে বিরোধীরা স্লোগান দিতে থাকে। ফলে লোকসভা সাময়িক মুলতুবি করা হয়।

এর আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করেন, কিছু লোক ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। যারা মসজিদে মন্দিরের অস্তিত্বের কথা বলছে, তারা আগামী দিনে লালকেল্লাকেও নিশানা করবে। তারাই একদিন লাল কেল্লাকেও ভেঙে ফেলবে। খাড়গের এমন মন্তব্যের পালটা দিতে গিয়েই ফের বেফাঁস মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং।

গিরিরাজ সিং বলেন, কেন কুতুব মিনার, বাবর, আকবর, হুমায়ুনের মতো নাম রাখা হয়েছে? ওসব সরিয়ে ফেলা উচিত। এগুলো নেহরুর আমলের সিদ্ধান্ত, যার ফল এখন দেশকে ভোগ করতে হচ্ছে। যদি লাল কেল্লার ভিতরে মন্দিরের কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়, তাহলে আদালতে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে। গিরিরাজের এমন বিতর্কিত মন্তব্যে নতুন বিবাদ তৈরি হয়। কেন না, তাঁর বয়ানের ফলে ভারতের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

গিরিরাজের এমন মন্তব্যের পর কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধীদলগুলির বক্তব্য, মন্ত্রীর মন্তব্য অসংবেদনশীল এবং সাম্প্রদায়িক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়। এই ধরনের মন্তব্য দেশের একতা এবং অখণ্ডতার জন্য বিপজ্জনক।

Tag :

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কুতুব মিনার, লাল কেল্লা নিয়ে গিরিরাজের বিতর্কিত মন্তব্যে সরব বিরোধীরা

আপডেট : ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার

নয়াদিল্লি: ২৫ নভেম্বর শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরা। এদিন বিরোধীরা নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আদানি, সম্ভল হিংসা ছাড়াও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা থেকে পালাতে চাইছে। প্রত্যুত্তরে ফের বেলাগাম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বিতর্কিত মন্তব্য করে বলেন, কেন কুতুব মিনার, লাল কেল্লা, বাবর, আকবর, হুমায়ুনের মতো নামের অস্তিত্ব কেন রাখা হয়েছে? এই সবকিছু সরিয়ে ফেলা উচিত।’ এরপরই প্রতিবাদে বিরোধীরা স্লোগান দিতে থাকে। ফলে লোকসভা সাময়িক মুলতুবি করা হয়।

এর আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করেন, কিছু লোক ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। যারা মসজিদে মন্দিরের অস্তিত্বের কথা বলছে, তারা আগামী দিনে লালকেল্লাকেও নিশানা করবে। তারাই একদিন লাল কেল্লাকেও ভেঙে ফেলবে। খাড়গের এমন মন্তব্যের পালটা দিতে গিয়েই ফের বেফাঁস মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং।

গিরিরাজ সিং বলেন, কেন কুতুব মিনার, বাবর, আকবর, হুমায়ুনের মতো নাম রাখা হয়েছে? ওসব সরিয়ে ফেলা উচিত। এগুলো নেহরুর আমলের সিদ্ধান্ত, যার ফল এখন দেশকে ভোগ করতে হচ্ছে। যদি লাল কেল্লার ভিতরে মন্দিরের কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়, তাহলে আদালতে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে। গিরিরাজের এমন বিতর্কিত মন্তব্যে নতুন বিবাদ তৈরি হয়। কেন না, তাঁর বয়ানের ফলে ভারতের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

গিরিরাজের এমন মন্তব্যের পর কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধীদলগুলির বক্তব্য, মন্ত্রীর মন্তব্য অসংবেদনশীল এবং সাম্প্রদায়িক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়। এই ধরনের মন্তব্য দেশের একতা এবং অখণ্ডতার জন্য বিপজ্জনক।