পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ গোয়া সফর নিয়ে উচ্ছ্বসিত ও তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৮ অক্টোবর গোয়ায় পাড়ি দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরবেন ৩১ অক্টোবর। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে আরও কয়েকজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের যোগদানে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রী এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার এই গোয়া সফর নিয়ে যথেষ্ঠ উছ্বসিত। শনিবার সকালে ট্যুইট করেই তিনি তার উচ্ছ্বাসের কথা ব্যক্ত করেছেন।
আয়তনের দিক দিয়ে দেখতে গেলে দেশের ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য গোয়া। কিন্তু, সেই গোয়ার গুরুত্ব এখন সব থেকে বেশি। ২০২২ সালে সেখানে নির্বাচন রয়েছে। আর সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে গোয়ায় তৃণমূল তার নিজের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে চায়।
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় সাংগঠিক শক্তি মজবুত করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন ত্রিপুরা (Tripura) ও অসমের (Assam) পাশাপাশি তাদের লক্ষ্য গোয়াও (Goa)।
উত্তরবঙ্গ সফর শেষ করেই গোয়ায় পাড়ি দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সফর নিয়ে শনিবার ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “২৮ অক্টোবর প্রথমবার গোয়া সফরের জন্য আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিজেপিকে হারাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য সব ব্যক্তিত্ব, সংস্থা এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে আহ্বান জানাচ্ছি। গত ১০ বছর ধরে গোয়ার মানুষকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।”
আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, “সকলে ঐক্যবদ্ধ হলে নতুন সরকার গঠিত হবে। যা গোয়ায় এক নতুন ভোর নিয়ে আসবে। নতুন সরকার মানুষের সরকার হোক, মানুষের সমস্যা বুঝুক এটাই কাম্য।”
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর গোয়ায় পৌঁছচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বিভিন্ন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। সূত্রের খবর, সেখানে কংগ্রেস সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই, গোয়ায় সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে কাজ শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর।