সেখ কুতুবউদ্দিনঃ নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের পড়ুয়াদের ক্লাসে উপস্থিতির উপর নজর রাখছে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর। সোমবার ডায়রেক্টরেট অফ মাদ্রাসা এডুকেশন (ডিএমই) আবিদ হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতির পর স্বাস্থ্য বিধি মেনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পঠনপাঠন চলছে। তবে এখন বহু পড়ুয়া মাদ্রাসায় হাজিরা দিচ্ছে না। সেই সব পড়ুয়াদের বাড়িতে গিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষকরা যাতে নজর রাখছে সেই নির্দেশও শিক্ষকদের দেওয়া হয়েছে।
যে সব পড়ুয়াদের মাদ্রাসার ক্লাসে একেবারেই আসছে না– সেই পরিবারের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলতে শুরু করেছেন কিছু মাদ্রাসার শিক্ষক। ডিএমই বলেন, সশরীরে ক্লাস চালু হয়েছে। এক মাস পর সমস্ত মাদ্রাসার কাছে তথ্য নেওয়া হবে– কোনও মাদ্রাসায় কত উপস্থিতি রয়েছে। উপস্থিতির হার দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ডিএমই আবিদ হোসেন আরও বলেন, বহু দিন মাদ্রাসাগুলি বন্ধ ছিল। এখন মাদ্রাসার পঠনপাঠনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাদ্রাসাগুলিতে সমস্ত পরিষেবা প্রদান করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যে সমস্ত কাজ এখন বাকি রয়েছে, সেই কাজগুলি দ্রুত শেষ করার প্রক্রিয়াও নেওয়া হচ্ছে।
ডিএমই আগেই জানিয়েছেন, রাজ্যের ৫৮২টি মাদ্রাসার ক্লাস রুম ও শৌচাগার নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্যের ৫৮২টি মাদ্রাসায় দুটি করে ক্লাস রুম বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি মাদ্রাসাকে ক্লাসরুম গড়ে তোলার জন্য ১২ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। যে সব মাদ্রাসার নিজস্ব জমি রয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলিতে দুটি করে ঘর বাড়ানোর টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫৮২টি মাদ্রাসায় শৌচাগার নির্মাণ এবং পানীয় জলের ব্যবস্থার কাজও সম্পন্ন হয়েছে। ৫৮২টি মাদ্রাসায় ঘর ও শৌচাগার মিলে মোট খরচ হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিকে স্মার্ট ক্লাসরুম কম্পিউটারের ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন খাতে টাকা দেওয়া হয়েছে। সেই কাজও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে রাজ্যের মাদ্রাসার পাশাপাশি বহু স্কুল কলেজেও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর হস্টেল তৈরির জন্য টাকা বরাদ্দ করেছে। বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হস্টেল তৈরির কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অনেক হস্টেলের কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আবিদ হোসেন এদিন আরও জানান, দফতরের মূল লক্ষ্য পড়ুয়ারা যাতে পড়াশোনায় এগিয়ে যেতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা। পাশাপাশি পড়ুয়াদের সব রকম সহায়তা প্রদান করা। ইতিমধ্যে স্কুলের পড়ুয়ারা যে সুযোগ সুবিধা পায়, মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরাও সেই সুবিধা পাবে বলে জানান আবিদ হোসেন।