পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানে তথ্য পাচারের অভিযোগে দীপেশ গোহিল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল– দৈনিক মাত্র ২০০ টাকা প্রাপ্তির লোভে সে এই তথ্য পাচার করত বলে দাবি পুলিশের।
দেশের উপকূলের জাহাজ, বন্দরের একাধিক গোপন ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সে পাকিস্তানে পাচার করত। গুজরাতের উপকূল থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস) তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, গুজরাতের ওখা বন্দরের একটি সংস্থায় সে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকের কাজ করত দীপেশ।
কিছু দিন আগে ফেসবুকে অসীমা নামের এক মহিলার সঙ্গে তার আলাপ হয়েছিল। পাকিস্তানের নৌবাহিনীর আধিকারিক হিসেবে ওই মহিলা তার পরিচয় দিয়েছিল। ওই মহিলার কাছেই ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনীর গোপন তথ্য সে ফাঁস করত বলে অভিযোগ।
গুজরাত এটিএসের দাবি, ওখা বন্দরে অবাধ যাতায়াত ছিল অভিযুক্তের। সেখানে উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজগুলির কাছেও অনায়াসে পৌঁছে যেতে পারত সে। সেগুলির ছবি এবং ভিডিয়ো তুলে সে ওই মহিলাকে হোয়াটস্অ্যাপ করে পাঠিয়ে দিত। জাহাজগুলির গতিবিধিও ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে পাঠাত। কোস্ট গার্ডের নানা জাহাজের নাম এবং নম্বরের তথ্য পাচার করা হত।
বিনিময়ে সে দৈনিক ২০০ টাকা করে পেত। মহিলার প্রয়োজন মতো ব¨রের আরও অনেক তথ্য সে খোঁজখবর নিয়ে জোগাড় করত। উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ কখন কোথায় যাচ্ছে সেই তথ্যও সে পাচার করত। এভাবেই গুজরাতে থেকে পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে দিনের পর দিন কাজ করে গিয়েছে সে। তদন্তকারীদের দাবি, দীপেশের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না।
এজন্য নিজের এক বন্ধুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দিয়ে কাজ চালাতে সে। সেখানেই চলে আসত তার ‘পারিশ্রমিক’। পুলিশের দাবি, এ পর্যন্ত মোট ৪২ হাজার টাকা পাকিস্তান থেকে সে পেয়েছে। একাধিক ধারায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
.
এটিএস-এর তরফে জানানো হয়েছে, আইএসআই বা পাকিস্তান নৌবাহিনীর কাছে ভারতের তথ্য পাচার করা হচ্ছে বলে তাঁদের কাছে বেশ কিছু দিন আগে ইনপুট আসে। সেই মতোই ওখা বন্দরে তাঁরা নজরদারি চালিয়েছিলেন। দীর্ঘ অভিযানের পর একাধিক তথ্য হাতে পাওয়ায় এই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত মাসেও গুজরাত থেকে একই অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছিল এটিএস।