পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলে ৫০০ ছুঁয়ে ফেলল দিল্লির বায়ুদূষণের সূচক। এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ রাজধানীর একাধিক এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা ৫০০ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবও নির্দেশিকা জারি করেছেন, ভয়ংকর বায়ুদূষণের আবহে প্রত্যেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই যেন ক্যাম্পাসের পরিবর্তে অনলাইন পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করে। বলা বাহুল্য, তীব্রতর দূষণে দিল্লির মানুষের হাঁসফাঁস দশা। বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে বাড়ছে ধূলিকণা ও কার্বনজাত রাসায়নিক। এমনই অবস্থা যে, দিনে ৪৯টিরও বেশি সিগারেট খাওয়ার সমান হয়ে গিয়েছে রাজধানীর দূষণ। দিল্লিতে রোজই বৃদ্ধি পাচ্ছে দূষণের মাত্রা। মঙ্গলবার তা ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় দূষণের মাত্রা উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে চলে যাচ্ছে বলে খবর। এর জেরে এয়ার পিউরিফায়ার ও মাস্ক বিক্রির পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। অনেককেই দেখা যাচ্ছে মাস্ক পরে চলাফেরা করছেন। এয়ার এক্সপার্ট ইন্ডিয়ার মালিক বীজেন্দ্র মোহন জানিয়েছেন, বায়ুদূষণ বাড়তেই এয়ার পিউরিফায়ার বিক্রির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আগে আমরা দিনে ২০টা এয়ার পিউরিফায়ার বিক্রি করতাম। কখনও দু’দিনে এই সংখ্যাটা হত।
বর্তমানে সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। রোজ ১৫০টা করে অন্তত ফোন পাচ্ছি। প্রতিটা ঘরে এয়ার পিউরিফায়ারটা দরকার হয়ে পড়ছে। সোমবার দিল্লির বায়ুদূষণ চলতি মরশুমের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল ৪৮১ । মঙ্গলবার তা আরও খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড সূত্রে খবর, এদিন রাজধানীর দূষণের মাত্রা উঠেছে ৪৯৪ সূচক পর্যন্ত। এছাড়াও দিল্লির একাধিক এলাকায় দূষণের মাত্রা ৫০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। সেই তালিকায় রয়েছে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম, মুনকা, নর্থ ক্যাম্পাস, ওয়াজিরপুরের মতো জায়গাগুলো।