পুবের কলম প্রতিবেদকঃ পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার আগেই গভীর নিম্নচাপের পরিণত হয়েছে জাওয়াদ। ঘুর্ণিঝড়ের আর কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সোমবার সকাল পর্যন্ত উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেইসঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগনায়। ঝোড়ো হাওয়া বইবে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে। এই অবস্থায় পরিস্থিতির ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখার জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত সেচ– বিদ্যুৎ ও বিপর্যয় মোকাবিলায় দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। প্রত্যেকবারের মতো এবারও গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও।
কলকাতায় সাধারণত যেসব জায়গায় জল জমে– সেইসব জায়গা থেকে দ্রুত জল বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভাকে। শহরে মোতায়েন থাকছে এনডিআরএফ এর দুটি টিম। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩৭৫ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। রিলিফ ক্যাম্প খোলা হয়েছে ৪২টি, তৈরি করা হয়েছে ১১৫ সাইক্লোন সেন্টারও। পর্যটকদের আপাতত হোটেলে থেকে না বেরোনোর অনুরোধ করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বিশেষ নজর রয়েছে নবান্নের। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে প্রতি ঘণ্টায় নবান্নে রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করতে না পেরে ক্রমেই শক্তি হারাচ্ছে জাওয়াদ। উত্তরের শুষ্ক ও ঠান্ডা হাওয়ার ‘সিস্টেম’ ভেঙে গিয়েছে। সেকারণেই স্থলভাগের দিকে যত এগোবে– ততই দুর্বল হবে ঘুর্ণিঝড়। ধীরে ধীরে পরিণত হবে অতি গভীর নিম্নচাপে। আগামীকাল দুপুরে জাওয়াদ পৌঁছেছে যাবে পুরীতে। এরপর যখন এ রাজ্যে ঢুকবে– তখন পরিণত হবে অতি গভীর নিম্নচাপে। ফলে বৃষ্টি হবে।
রবিবার বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে কলকাতায়। শনিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর– উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা– হাওড়া– ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি হয়েছে। রবিবার অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর– উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা– ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে হাওড়া– হুগলি– নদিয়া– দুই বর্ধমান– বাঁকুড়া– পুরুলিয়া ও মুর্শিদাবাদে। সোমবার ভারী বৃষ্টির সর্তকতা দুই ২৪ পরগনা– নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে। ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে শুধু দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনাযü। ৩০-৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সমুদ্রে ঝোড়ো হাওয়ার গতি থাকবে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৫ কিমি।