গান্ধিজীর শাহাদত দিবসে শহরজুড়ে একাধিক কর্মসূচি
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মহাত্মা গান্ধি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্যতম নেতা। তাঁর নীতি ও অহিংসার আদর্শ গোটা বিশ্বের কাছে নজির সৃষ্টি করেছে। প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে না গিয়ে বিকল্প পন্থায় সংগ্রামের জন্য তিনি অমর হয়ে আছেন। দেশের জন্য বড় ভূমিকা রেখেও মহাত্মা গান্ধিকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। সেই দিনকে দেশবাসী শাহাদত দিবস হিসাবে পালন করে। আজকের এই দিনেই আঁততায়ির গুলিতে প্রাণ হারান মহাত্মা গান্ধি। এদিন দেশের অন্যান্য প্রান্তের মতো কলকাতার একাধিক জায়গায় গান্ধিজীকে স্মরণ করা হয়।
এ দিন সাকালে উত্তর ২৪ পরগনার গান্ধিঘাটে এক অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ড. সি ভি আনন্দ বোস মহাত্মা গান্ধির মৃত্যু বার্ষিকী বা শাহাদত দিবসে শ্রদ্ধা জানান। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়–সহ বিশিষ্টরা।
রাজ্যপাল ড. সি ভি আনন্দ বোস তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, এটি এমন একটি দিন যখন মহাত্মা এই জাতির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে ছিলেন। আমরা তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি । এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমাদের ভবিষ্যতে মহাত্মা গান্ধির আদর্শ ও নীতিতে বেঁচে থাকা উচিত। এই জাতির একটি মহান ভবিষ্যত রয়েছে, কারণ মহাত্মা গান্ধির উদ্যোগে লাখো মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মহাত্মা গান্ধির ভূমিকার কথা তুলে ধরেন রাজ্যপাল। গান্ধিজীর প্রাসঙ্গিকতার কথাও বলেন তিনি।
অন্যদিকে সাংসদ পার্থ ভৌমিক গান্ধিজি স্মৃতি সৌধে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কুম্ভের মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, মুখে ধর্মের কথা না বলে মানুষ যাতে ধর্মটা ঠিক করে পালন করতে পারে তার ব্যবস্থা করুন।
এ দিন কলকাতার মেয়ো রোডে ছিল প্রদেশ কংগ্রেসের কর্মসূচি। ৩০ জানুয়ারি ‘জাতীয় শহিদ দিবস’-এ পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কলকাতার মেয়ো রোডে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধির প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। গান কবিতার মাধ্যমে দিনটি স্মরণ করা হয়।
অন্যদিকে রাজ্য প্রশাসন ও কলকাতা পুরনিগমের তরফে আলিপুর জেলে ছিল বিশেষ অনুষ্ঠান। সেখানে শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রাজপাল মেয়ো রোডের গান্ধি মূর্তিতেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অন্যান্য বছরের মতো বেলেঘাটার গান্ধি ভবন বা হায়দরি মঞ্জিলে জাতির জনককে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বামেদের তরফে একটি পদযাত্রাও হয় কলকাতায়।