পুবের কলম প্রতিবেদক: আগামী সপ্তাহের মধ্যে বের হবে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পরিচালিত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল। শনিবার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
কমিশন জানিয়েছে, ২৮ জানুয়ারি হয় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা টেট পরীক্ষা। ফল প্রকাশের পর মাদ্রাসাগুলিতে পুনরায় শিক্ষক দেওয়া শুরু হবে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনক্ষণ পরে জানাবে কমিশন।
উল্লেখ্য, টেট ও নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ মিলে ১ হাজার ৭২৯ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে মোট ২৮ জানুয়ারি আরবি বিষয়ে টেটে পরীক্ষা দেন ২ লক্ষ ৩৪ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী। অন্যদিকে, গত ৩ মার্চ মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হয়।
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের (এমএসসি) নিয়োগ পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কস রা’ার বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২৮টি সিলেবাস বর্হিভূত প্রশ্নে পূর্ণ মান দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি আদালতে পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কস নিয়েও মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, কেন্দ্র সরকারের সি-টেট, এসএসসি পরিচালিত টেট পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং রাখা হয়নি। রাজ্য সরকারের এসএসসির টেটেও নেই। তাহলে মাদ্রাসায় রাখা হচ্ছে কেন? তা প্রত্যাহার করতে হবে।
এদিকে, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের ৬ এসএলএসটি পরীক্ষায় ৩১৮৩টি আসনের শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৩ সালে পরীক্ষা হলেও ২০১৮ সালে ১৫০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি পরীক্ষার্থীদের একাংশের। বাকী আসনগুলিতে যাতে নিয়োগের ব্যবস্থা হয়, সেই নিয়ে কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন ওই বছরের পরীক্ষার্থীদের একাংশ। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে।
রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের তথ্য অনুসারে ৬১৪টি মাদ্রাসা রয়েছে। সমস্ত মাদ্রাসা মিলে ৫ লক্ষ-এর বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এর মধ্যে ৬০ হাজারের বেশি অমুসলিম ছাত্রছাত্রী রয়েছে। তবে এঁদের বেশিরভাগ এসটি সম্প্রদায়ের। রাজ্যের সমস্ত জেলার মধ্যে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলার মাদ্রাসাগুলিতে অমুসলিম ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি।
মাদ্রাসায় শিক্ষক-শিক্ষিকার শূণ্যপদ ১৪ হাজার। এর মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক নিযুক্ত রয়েছেন। ৩০ শতাংশ অমুসলিম শিক্ষক-শিক্ষিকা মাদ্রাসাগুলিতে পঠনপাঠনের দায়িত্বে রয়েছেন। সব মিলিয়ে মাদ্রাসায় এখন শূন্যপদের সংখ্যা বহু। এই পদগুলিতেও দ্রুত শিক্ষক দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন।