পুবের কলম প্রতিবেদক: দ্বিতীয়বারের বিধাননগর পুরবোর্ডের মেয়র হিসাবে শপথ নিলেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এরই আগে পুরবোর্ডের মেয়র ও প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধান দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন পুরবোর্ড পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্দিনের সঙ্গী কৃষ্ণা। ‘দক্ষতা’ এবং ‘বিশ্বাসভাজন’ দুইয়ের নিরিখে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বরা কৃষ্ণার উপরেই পুনরায় আস্থা রাখলেন। তারই প্রাপ্তিস্বরূপ বিধাননগরের মহানাগরিক নির্বাচিত হন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
শুক্রবার বিধাননগরের দ্বিতীয়বার মেয়র হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করে কৃষ্ণা চক্রবর্তী তাঁর সেই গুরুদায়িত্ব ভার বুঝে নেন। শপথ নিয়েই বিধাননগরের প্রথম নাগরিক কৃষ্ণা চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘জয়ী ৪১ জন কাউন্সিলরদের সঙ্গে রেখেই ঐক্যবদ্ধভাবে পুর উন্নয়নের যাবতীয় কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব’। এ দিন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিধাননগরের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সব্যসাচী দত্ত। শপথ বাক্য পাঠ করে নিজের সেই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন সব্য।
এরই পাশাপাশি শুক্রবার সল্টলেক পুরভবন সংলগ্ন এফডি ব্লকের মাঠে পুরবোর্ডের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান মঞ্চে সল্টলেক ও রাজারহাটের অংশ মিলিয়ে বিধাননগরের ৪১টি ওয়ার্ডের বিজয়ী কাউন্সিলরদের শপথ হয়। সেই বাক্য পাঠ করান পুর কমিশনার দেবাশিস ঘোষ। বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি তিন ভাষাতেই হয় সেই শপথবাক্য পাঠ। কমিশনারের ঘোষণামতো এ দিন কাউন্সিলাররা যখন শপথবাক্য পাঠ করতে ওঠেন সেই সময় কর্মী-সমর্থকদের করতালি-ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এফডি ব্লক মাঠ।
উৎসাহীরা ধামসা, মাদল, বাজনা নিয়ে আসেন। শপথগ্রহণ শেষে কাউন্সিলরদের নিয়ে পুরভবনে প্রথম বোর্ড মিটিং করেন কৃষ্ণা-সব্য। বৈঠক অ¨র সূত্রে খবর, প্রথম সেই মিটিংয়ে পুর আয় বৃদ্ধি ও ওয়ার্ড উন্নয়নের কাজে কাউন্সিলরদের বেশি জোর দিতে বলা হয়েছে। এ দিন গোটা এই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম, স্থানীয় বিধায়ক মন্ত্রী সুজিত বসু, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বিধায়ক নির্মল ঘোষ, তাপস চ্যাটার্জি, অদিতি মুন্সি প্রমুখ। পুরভবন সূত্রে খবর, দিন কয়েকের মধ্যেই মেয়র-ইন পারিষদের সদস্যদের নাম ঘোষিত হবে।