তেহরান: সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনের পর নিজের প্রথম ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তোপ দাগলেন আমেরিকা ইসরাইলের দিকে৷ তিনি বলেছেন, তেহরানের কাছে ‘প্রমাণ’ রয়েছে যে, সিরিয়ায় যা ঘটেছে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী শাসকের যৌথ পরিকল্পনার ফসল৷ তুরস্কের দিকে ইঙ্গিত করে তেহরানে এক সমাবেশে খামেনি বলেন, হ্যাঁ, সিরিয়ার প্রতিবেশী একটি সরকার এতে (আসাদের পতনে) স্পষ্ট ভূমিকা পালন করেছে এবং করছে। আমরা এটি দেখতে পাচ্ছি। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
Read More: সিরিয়াকে টুকরো হতে দেব না, হুঁশিয়ারি এরদোগানের
এদিকে, সিরিয়ায় ‘সন্ত্রাসী তৎপরতা প্রতিরোধে’ একটি ‘নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল’ গঠনের কথা জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। এরই মধ্যে দেশটির দক্ষিণের ওই অঞ্চলে সিরিয়ার ভূখণ্ড দখলে নিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর বিমান হামলাও জোরদার করেছে ইসরাইল। খামেনি সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর সঙ্গে ইহুদিবাদী ও আমেরিকার আচরণকে এর অন্যতম প্রমাণ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, তারা যদি সিরিয়ার ঘটনার মূল হোতা না হয়ে থাকে, তাহলে অন্যান্য দেশের মত তারা কেন নীরব থাকল না? কেন তারা শত শত স্থাপনা, বিভিন্ন কেন্দ্রের অবকাঠামো, বিমানবন্দর, গবেষণা কেন্দ্র, বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ করার মতো অযাচিত হস্তক্ষেপ করলো?
ঘটনার প্রথম দু’য়েক দিনেই সিরিয়ার ৭৫টি পয়েন্টে হামলার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে আমেরিকা। সর্বোচ্চ নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, তাদের পাশাপাশি ইহুদিবাদীরাও সিরিয়ার ভূমি দখল করে তাদের ট্যাংক নিয়ে দামেস্কের কাছাকাছি চলে এসেছে। যেই আমেরিকা অন্যান্য দেশের ছোটখাটো সীমান্ত লঙ্ঘনের ঘটনায় অনেক বেশি সংবেদনশীলতা দেখায়, তারা একটু প্রতিবাদও তো করলো না, উল্টো বরং তারা সাহায্য করেছে। তো, সিরিয়ার এই ঘটনায় কি প্রমাণ হয় না যে এইসব দুর্ঘটনার পেছনে তাদের হাত রয়েছে?