পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নানা টালবাহানার পর অবশেষে ‘তেল আবিবের কসাই’ ♦ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর♦ বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু ও দেশটির প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। একই ধরনের পরোয়ানা জারি করা হয়েছে হামাস নেতা মোহাম্মদ দায়েফের বিরুদ্ধেও। তিনি সম্ভবত নিহত বলে এর আগে দাবি করেছিল ইসরাইল।
♣আর জি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে সিবিআই অফিস অভিযান সিপিএমের♣
এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেতানিয়াহু ও গ্যালান্তের সম্ভাব্য বিদেশ সফরকে প্রভাবিত করবে। কারণ, যেসব দেশ রোম স্ট্যাটিউট বা ♦আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠন♦ সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে সেসব দেশ সফর করলে তারা গ্রেপ্তার হতে পারেন। আর ♦হামাস নেতা মোহাম্মদ দায়েফ♦ সম্ভবত ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন। তার ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান গত মে মাসে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন। তিনি বলেন, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্তের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তারা গাজায় গণহত্যার অপরাধ করেছেন। এগুলো যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য।
♣আর জি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে সিবিআই অফিস অভিযান সিপিএমের♣
এদিকে, আমেরিকা ইউক্রেনে রুশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইসিসির যুদ্ধাপরাধের পরোয়ানা সমর্থন করলেও নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্তের বিরুদ্ধে আদালতের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। এর ফলে বাইডেন প্রশাসনের দ্বিমুখী আচরণ প্রকাশ পেল। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও তা খুব একটা কার্যকর হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কিছু রাষ্ট্র এরই আগে আইসিসির পরোয়ানা উপেক্ষা করেছে। কারণ এর কোনও এক্সিকিউটিভ পাওয়ার নেই।
তবে সদস্য দেশগুলি চাইলে ♦নেতানিয়াহুকে♦ গ্রেফতার করতে পারে। এতে বর্তমানে ১২৫টি দেশ রয়েছে। গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের হামলায় কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৫৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৮৬ জন আহত হয়েছেন। এর দায় নেতানিয়াহুর কাঁধেই বর্তায়।