পুবের কলম প্রতিবেদক: ধেয়ে আসছে ঘর্ণিঝড় ‘অশনি’। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে শ্রীলংকা। বঙ্গোপসাগরের উপর যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে, সেটি শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ওপর অবস্থান করছে। আজ এটি শক্তি বাড়িয়ে গভীরনিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে গিয়ে মায়ানমার ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের উপর পৌঁছে যাবে ২২ মার্চ (মঙ্গলবার) নাগাদ। বাংলাদেশ মায়ানমার উপকূলের দিকে সরে যাওয়ার ফলে রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। দিনের তাপমাত্রার বিশেষ কোনও হেরফের হবে না। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ওই সময় বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। আবহাওয়া মূলত শুষ্কই থাকবে।
জলীয় বাষ্পের কারণে আর্দ্রতা বাড়ায় এই ক’দিন বাড়বে অস্বস্তিও। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, তা পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে বুধবার বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে তারপর আন্দামান সাগরের দিকে যাবে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর তা যাবে বাংলাদেশ মায়ানমার উপকূলের দিকে। ফলে আমাদের এখানে প্রভাব পড়বে না।’
মৌসম ভবন জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া মোটের উপর শুষ্কই থাকবে। শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। রাজ্যের বাকি সমস্ত জেলায় শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। রাতের দিকে তাপমাত্রার ক্ষেত্রেও আর কোনও পরিবর্তন হবে না এই ক’দিন। ফলে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের জেরে বাড়বে অস্বস্তি।