দামেস্ক: হামা শহরও হারিয়েছেন আসাদ। সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের দাপটে একের পর এক শহরের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে বাশার আল আসাদ সরকার। এই বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ, ইরান, রাশিয়া। তারপরও তাহরির আল শাম বিদ্রোহীদের হামলার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে সরকারি বাহিনীর যোদ্ধারা। তাহরিরের পিছনে আমেরিকা, আল কায়েদার একটি গ্রুপ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আক্রমণের তিনদিনের মধ্যে তারা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। হায়াত তাহরির আল-শামের(এইচটিএস) এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা সিরিয়াযুদ্ধে যুক্ত থাকার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এদিকে হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান নাঈম কাশেম সিরিয়ার বাশার সরকারকে অটুট সমর্থন ঘোষণা করেছেন। তিনি সিরিয়াকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ এনে আমেরিকা এবং ইসরাইলের ভূমিকার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক পদক্ষেপ সত্ত্বেও বিদ্রোহীরা তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না। এই আগ্রাসন প্রতিহত করতে হিজবুল্লাহ সিরিয়ার সঙ্গে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে। এইচটিএসকে আল-কায়েদার সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আলেপ্পো দখল করে এরইমধ্যে গোষ্ঠীটি মধ্যাঞ্চলের হামা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। দুই শহর হারিয়ে বড় চাপে পড়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও তার মিত্র বাহিনী। এরফলে মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়ার সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এমন আবহে, যদিও কাসেম উল্লেখ করেননি কীভাবে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করছে হিজবুল্লাহ। দামেস্ককে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহায়তা প্রদান করে আসছে লেবাননের এই সশস্ত্রগোষ্ঠীটি।