পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ আলিকে হেনস্থা ও গালিগালাজ করায় অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার তাকে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত আদালতে পেশ করা হয়। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
আলিয়া কাণ্ডে গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের আইনজীবী এজলাসে প্রশ্ন তোলেন, ৩৮৬ / ৩০৭ ধারা কেন প্রয়োগ করা হয়েছে? ( ৩০৭ ধারা , খুনের চেষ্টা, ৩৮৬ ধারা, কাউকে মৃত্যুভয় বা মারধরের হুমকি দিয়ে তোলাবাজি) কেস ডাইরিতে এর কোনও প্রমাণ নেই। ঘটনাটি ঘটেছে ১ এপ্রিল। কেন ঘটনার দুই দিন কেটে যাওয়ার পর ৩ এপ্রিল মামলা রুজু করা হল? উপাচার্যের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটা সত্বেও কেন গভর্নিং বডির কেউ এই ঘটনায় সেদিনই মামলা রুজু করল না? অন্য ছাত্রকে কেন এই মামলা রুজু করতে হল? পাশাপাশি ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী।
পালটা সরকারি পক্ষের আইনজীবী জানান, গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রভাব দেখিয়ে কারও কথা না শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে গিয়েছে দলবল নিয়ে। অস্ত্র নিয়ে ঢুকে উপাচার্যকে হুমকি দেন। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। একই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও তিনটি ঘটনা রয়েছে বলেও দাবি করেন সরকারি আইনজীবী, সেগুলি চার্জশিট পর্যায়ে রয়েছে।