পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : রাজ্যে একটু একটু করে নামছে তাপমাত্রার পারদ। রবিবারও তা অব্যাহত ছিল। তবে ঘোষিত ভাবে শীত আসেনি রাজ্যে। বাংলায় জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের থেকে । তেমনটাই জানালেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস।
তিনি আরও বলছেন, ‘আগামী পাঁচ দিন রাজ্যে স্বস্তিদায়ক আবহাওয়া থাকবে। রোদ ঝলমলেই থাকবে আকাশ। আগামী ৯ নভেম্বর তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী এলাকায় নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যার প্রভাব মূলত দক্ষিণ ভারতেই পড়বে । তবে ১১ নভেম্বর থেকে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকবে। যার ফলে ঠান্ডা কিছুটা কমতে পারে। ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে।’
উত্তুরে হাওয়া মালুম হচ্ছে ত্বকে। হাওয়া অফিস অবশ্য গত সপ্তাহেই জানিয়েছিল যে রাজ্যের উপর দিয়ে বইবে উত্তুরে হাওয়া। রাত ও ভোরের দিকে শীতের আমেজ পাচ্ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলি।দিনের আবহাওয়াও রোদ ঝলমলে। মনোরম।শনিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি কম।
হাওয়া অফিসের অধিকর্তা জানিয়েছেন, নভেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে এতটা পারদ-পতন কলকাতায় শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালে। তার আগে ২০০৫ সালে। ২০১৬ সালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০০৫ সালে ছিল ১৮.২ ডিগ্রি।
হঠাৎ করেই পারদের এমন পতনে অনেকেই সর্দি কাশিতে ভুগতে শুরু করেছে। এমনিতে করোনা সংক্রমণ এখনও বিদায় নেয়নি। তার মাঝে সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা অনেকের মনেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। প্রবল সর্দি হলে সাধারণভাবে নাক বন্ধ থাকে। তখনও ভালো করে খাবারের স্বাদ বোঝা যায়না। গলায় ব্যাথাও থাকে কারও কারও। সাধারণ সর্দি, কাশি নাকি করোনা তা নিয়ে অনেকের মনেই দানা বাঁধছে সন্দেহ। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হল, এমন অবস্থা হলে ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, এবং তাঁর পরামর্শ মোতাবেক করোনা পরীক্ষা করান।