রফিকুল হাসান: লেডি কনস্টেবল পরীক্ষায় হিজাব সমস্যা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এ রাজ্যের বেশ কিছু মুসলিম তরুণী। সোমবার এই মামলা উঠেছিল আদালতে। আগামী ৬ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে। বিচারপতির রায়েই নির্ভর করবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কনস্টেবল ও লেডি কনস্টেবল পরীক্ষার ভাগ্য নির্ধারণ।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ রিত্রুটমেন্ট বোর্ডের উদ্যোগে কনস্টেবল ও লেডি কনস্টেবল ২০২০ পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন করেন বহু তরুণী। গত ২৬ সেপ্টেম্বর এই পরীক্ষার প্রিলিমিনারি লিখিত পরীক্ষা নেই ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ রিত্রুটমেন্ট বোর্ড। এরজন্য এডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে গিয়ে দেখে তাদের অ্যাডমিট ডাউনলোড হচ্ছে না। ফর্ম ফিলাপে ভুল হয়েছে বলে তারা জানতে পারেন। এই মত ওই সমস্ত তরুণীরা পুলিশ রিত্রুটমেন্ট বোর্ডের অফিস সল্টলেকের আরক্ষ ভবনে তাদের সমস্ত নথিপত্র নিয়ে গেলেও তার সুরাহা হয় নি। পরীক্ষার্থীদের দাবি, পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করার জন্য যে ফটো আপলোড করা হয়েছিল সেই ফটোতে হিজাব বা ওড়না পরা ফটো আপলোড করা হয়েছিল। যদিও পুলিশ রিত্রুটমেন্ট বোর্ডের নির্দেশিকায় বলা ছিল মাথায় কিছু ঢাকা যাবে না।
যদিও এ ব্যাপারে ওই পরীক্ষার্থীদের বক্তব্য, আমাদের মুখমণ্ডলটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। শুধুমাত্র চুলের অংশটা ঢাকা আছে। হিজাব বা ওড়না মাথায় জড়ানো যেটা আমাদের দেশের সংবিধান ধর্মীয় অধিকারের মধ্যে দিয়েছে। এটা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজন মাথায় পাগড়ি পরে চাকরি করতে পারলেও আমরা কেন পারব না? প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এরপরেই তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। এই মামলার আইনজীবি ফিরদৌস শামিম বলেন, সোমবার এই মামলা উঠেছিল আদালতে। আগামী ৬ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে। বিচারপতির রায়েই নির্ভর করবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কনস্টেবল ও লেডি কনস্টেবল পরীক্ষার ভাগ্য নির্ধারণ।