অর্পিতা লাহিড়ীঃ সেন্ট্রাল পার্কে জমে উঠেছে ৪৫ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বইমেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মহামারির দাপট সামলে ২ বছর বাদে আম বাঙালি কতটা বইমুখী? তারই সুলুকসন্ধান করতে পুবের কলম ডিজিটাল পৌঁছে গিয়েছিল সেন্ট্রাল পার্কে বইমেলা প্রাঙ্গনে।
বইমেলায় প্রবেশ করে প্রথমেই ঢুঁ মারা গেল পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের কার্যালয়ে। সেখানে তখন উপস্থিত রয়েছেন গিল্ডের সভাপতি এবং সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে এবং ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।
পুবের কলম ডিজিটাল কে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বিশিষ্ট সাহিত্যিক, পত্রভারতীর কর্ণধার তথা গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানালেন দু’বছরের বেশি সময় পরে এবারের বইমেলা তাই বাড়তি আবেগ তো থাকবেই দীর্ঘ আলাপচারিতায় উঠে এল সোশ্যাল মিডিয়া, ডিজিটাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ছাপার অক্ষরে বই নানা প্রসঙ্গ। ত্রিদিব বাবু আরও জানালেন ২ বছরের করোনা মহামারি আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমাদের রোজকার ভোকাবুলারিতে যুক্ত হয়েছে গুগল মিট, স্ট্রিম ইয়ার্ডের মত শব্দ।
কিন্তু বইয়ের কোন বিকল্প নেই। বইমেলায় যখন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, মণিশংকর মুখোপাধ্যায়, বাণী বসুর লেখক- লেখিকারা পা রাখছেন, তখন পাঠকের উন্মাদনা দেখার মত।
অন্যদিকে দেজ পাবলিশিং এর কর্ণধার তথা গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে জানালেন চলতি বছরে দেজ পাবলিশিং ৫০ এ পা দিল। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছেন বই এর চাহিদা কিন্তু একই আছে। পড়ে দেখার কোন বিকল্প নেই। সুধাংশুবাবু আরও জানালেন টেকস্যাভি নতুন প্রজন্মও কিন্তু সমভাবে মনোযোগী পাঠক।