পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ট্রাম্প অভিবাসন নীতির আতঙ্কে ত্রস্ত ভারতীয় শিক্ষার্থীরা! আমেরিকায় পার্ট-টাইম চাকরি ছাড়ার হিড়িক। মূলত এফ-১ ভিসা নিয়ে আমেরিকায় পড়তে যান হাজার হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। এই ভিসায় শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ভরণপোষণ ও আনুসাঙ্গিক প্রয়োজনের জন্য ক্যাম্পাসের ভিতর সপ্তাহে ২০ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে তাতে যা আয় হয়, তা খুবই নগন্য। ফলস্বরূপ অনেকের নিজেদের আয় বাড়ানোর জন্য অবৈধভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন কোম্পানিতে পার্ট টাইম কাজ করে। কেউ রিটেল স্টোরে, তো কেউ হোটেল বা রেস্তোরাঁয়, কেউ বা গ্যাস স্টেশনে। আর এই সকল পড়ুয়াদের কাজ করার বৈধ কোনও নথি নেই। তাই ট্রাম্প সরকারের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে তারা এসব চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। ট্রাম্পের ২.০ সাম্রাজ্য শুরু হতে না হতেই শুরু হয়েছে ভয়ের বাতাবরণ। মূলত, শুধু ভারতীয় না অনেক বিদেশী পড়ুয়াই ফাঁকা সময়ে কোথাও না কোথাও চাকরি করে থাকেন। যেহেতু আমেরিকায় পড়াশোনার জন্যে বহু পড়ুয়াকেই মোটা অঙ্কের ঋণ নিতে হয়, তাই পরিবারের চাপ কমাতে পার্ট টাইম কাজ করে সেই ঋণ গুলো পরিশোধ করার চেষ্টা করেন ওই পড়ুয়ারা।
তবে এবার তাঁদের এই চিন্তার পথে বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি। আর এই নীতির ভয়েই চাকরি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন পড়ুয়ারা। যার মধ্যে ভারতীয়রাও রয়েছেন। তারা চাকরি তো ছেড়ে দিয়েছেন, কিন্তু এবার লোন চোকাবেন কীভাবে? কি ভাবেই বা খাওয়া-খরচ চালাচ্ছেন তারা? এক পড়ুয়ার কথায়, ‘এই সময়টা খুবই খারাপ যাচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই, এই সব কিছুর জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত তো হচ্ছেই। অনেক পড়ুয়া আর্থিক এবং মানসিক চাপের কারণে অসহায় বোধ করছেন। কিন্তু এই মুহুর্তে নির্বাসন বা ছাত্র ভিসা হারানোর ঝুঁকি নেওয়া যাবে না’। তবে সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন আগামীদিনে কি হতে চলেছে? মার্কিন মুলুকে তারা টিকে থাকবেন কীভাবে? কিই বা হতে চলেছে তাঁদের আসন্ন ভবিষ্যৎ!