সেখ কুতুবউদ্দিন : ভিড়ে ঠাসা। আগে-ভাগে দাঁড়ানোর হুড়োহুড়ি। তবে নিয়ম মেনে। কেউ কার’ওর উপর বিরক্তির লেস মাত্র নেই। পেটে খাবার না থাকলেও হাসি মুখেই নামাজ পড়তে ঢোকার চিত্র ফুটে ওঠে সকলে্র মুখে। কলকাতার নাখোদা, টিপু সুলতান সহ সমস্ত মসজিদে একই চিত্র। শুক্রবার বারোটা না বাজতেই নাখোদা মসজিদ চত্বর ভরতি। জাকারিয়া স্টিট সহ ট্রাম লাইনেও ভিড়। অনেকে লাইনে না দাঁড়িয়ে মসজিদের আশপাশের দোকানগুলিতে নামাজ পড়তে লাইন দিয়েছেন। কলকাতার সব থেকে বড় মসজিদ নাখোদা। মসজিদের নামাজের সময় যানবাহন সহ অন্যান্য কন্ট্রোল করতে পুলিশ কর্মীরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
এদিকে ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদের চিত্র একই। জুম্মার সময় লেলিন সরনী থেকে স্টেটসম্যান হাউস পর্যন্ত বেশ ছিল ভিড়। অন্য মাসের থেকে রমযান মাসের জুম্মার নামাজের চিত্রটা ছিল আলাদা। সকলেই বড় জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়বো বলে টিপুসুলতান, নাখোদা মসজিদের ঠাসা ভিড়েও অংশগ্রহণ করতে পিছপা হন না। এদিন মসজিদগুলিতে লক্ষ্য করা গিয়েছে, বেশিরভাগ মুসুল্লির পোশাক ও টুপি ছিল সাদা। মসজিদগুলিতে জুম্মাবারে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের।
এদিকে পার্ক সার্কাসের মসজিদগুলিতেও ছিল একই দৃশ্য। অন্য মাসের থেকে রমযানের জুম্মার নামাজে যে একটু আলাদা ভিড় হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে থাকে। মসজিদে মুসল্লি উপছে পড়ার কারণে বেশি করে মাদুর কিনে রাখা হয়।
তবে অনেকেই রয়েছেন, রমযানের জুম্মা বারে বড় জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়বো। সেই উদ্দেশ্যে নাখোদা মসজিদে হাজির হন কলকাতা সহ পার্শ্ববতী অঞ্চলের বহু মুসুল্লি। কেউ আসেন, তপশিয়া, আবার কেউ রাজাবাজার, খিদিরপুর, হাওড়া থেকে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, বড় জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়লে সওয়াব বেশি। তাই এই মসজিদে নামাজ পড়তে এসেছি। এখানে এসে খুব আনন্দ হচ্ছে। পার্ক সার্কাসের বাস ডিপোর পাশের মসজিদের এক মুসুল্লি বলেন, জুম্মার নামাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিটি সাবালক মুসলিমদের জন্য নামাজ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।আসিফ আহমেদ নামে এক মুসুল্লি বলেন, জুম্মা বারে মসজিদে বেশি সময় দেওয়ার জন্য সাড়ে দশটার সময় বাড়ি থেকে বের হই। আর দুটোর সময় বাড়ি ঢুকি। তাছাড়া কলকাতার মসজিদে বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত মানুষরাও নামাজ পড়েন।