অর্পিতা লাহিড়ীঃ বাঙালির জীবনে “দীপুদা-র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দীপুদা মানে দীঘা, পুরি,দার্জিলিং। করোনার প্রকোপ একটু স্তিমিত হতেই মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেছেন বাংলার সৈকত সুন্দরী দীঘাতে। ট্রেন থেকে হোটেল সর্বত্রই ঠাঁই নেই রব। তবে এরমাঝেই কিছুটা হলেও তাল কাটল অশনি।
অশনি এবং কোভিড পরবর্তী তে কেমন আছে দীঘা এবং তার পর্যটন। তার সুলুকসন্ধান করতেই পুবের কলম ডিজিটাল পৌঁছে যায় দীঘাতে। পর্যটকদের কথায় দীঘা এখন বেশ ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে গিয়েছে। হোটেল থেকে গাড়ি ভাড়া দাম বেড়েছে সবকিছুর।
হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন দাম বেড়েছে সবকিছুর, জ্বালানি থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর। তাই উপায় না থাকলেও বাড়াতে হচ্ছে দাম।
তবে দীঘার পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন কোভিডের পরবর্তী অবস্থায় এই পর্যটন ব্যবসাই তাদের একমাত্র অবলম্বন। দীঘায় তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। সেটাও পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন তাঁরা। রাজ্যসরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই যে দীঘার পর্যটন আরও সম্প্রসারিত হয়েছে তাও বলছেন তাঁরা।
তবে অশনির প্রভাব প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ ভাবে পড়েছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক অবস্থা। এমনটাই বলছেন সৈকতের পর্যটকদের ছবি তুলে দেওয়ার জন্য ফটোগ্রাফার বা ঘোড়াওয়ালারা। বেড়াতে এলেও অনেকেই খরচ করছেন খুব বুঝে।
হোটেল ব্যবসায়ীদের একাংশ বলছেন এখন আর দীঘায় কোন সিজন নেই সারা বছরই মরসুম। মাঝে অশনি কিছুটা তাল কাটলেও, ফের দীঘার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন পর্যটকরা। আর তাতেই চওড়া হচ্ছে দীঘার পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখের হাসি।