পুবের কলম প্রতিবেদকঃ রাজ্যে করোনা সংক্রমণ এখনো |র্ধ্বমুখী। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনার কারণে বন্ধ। এই অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক। ২ বছরের বেশি সময় ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশ স্কুল মুখো না হওয়ায় তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকেরা। এই অবস্থায় চিকিৎসক মহলের মনে করছে একটা বড় অংশ মনে করছে– যাতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কুলের দরজা খুলে দেওয়া হয়। এমনিতেই বর্তমান পরিস্থিতিতে ছোটরা বিভিন্ন জায়গায় অভিভাবকদের সঙ্গে ঘুরতে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে তাদের আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। তারা কিন্তু বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকছে না। অথচ সংক্রমনের বাড়বাড়ন্ত হতে পারে এই ভয়ে স্কুল তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। স্কুলে না গিয়েও যখন ছাত্রছাত্রীদের আক্রান্ত হওয়ার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে এই অবস্থায় ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তুলছেন যে স্কুল বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা কি? ময়না পাখি ভালো লাগে তাহলে করো সাধারণত চিকিৎসকেরা স্কুল খোলার ক্ষেত্রে যে যুক্তি দেখাচ্ছেন তা হলপ্রথম– দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তিনটি ঢেউয়ের ক্ষেত্রেই বড়দের পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছে ছোটরাও। তবে বড়দের তুলনায় ছোটদের আক্রান্ত হওয়ার নজির কম। আক্রান্ত হলেও তাদের অবস্থা মারাত্মক হচ্ছে না। এখানেই শেষ নয় আইসিএমআর বলছে– বড়দের তুলনায় ছোটদের করণা সামলানোর ক্ষমতা বেশি। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ছোটরা বেড়াতে যাচ্ছে আবার উৎসবে শামিল হচ্ছে তাহলে স্কুলে যেতে আপত্তি কোথায় প্রশ্ন তুলছেন চিকিৎসকেরা। যেহেতু রাস্তায় বেরোচ্ছে তারা তখন তাদের সংক্রমণ আটকে রাখা যাচ্ছে না। বড়দের থেকেও আক্রান্ত হচ্ছে ছোটরা। মহারাষ্টÉ প্রথম দিন থেকেই সংক্রমনের শীর্ষে অথচ এই অবস্থাতেও স্কুল খোলার মত সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারছে তারা। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের কি স্কুল তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা ভাবা উচিত? বিশিষ্ট চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ বলছেন– প্রথম অবস্থায় আমরা অর্থাৎ চিকিৎসকরাই বলেছিলাম সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্কুল বন্ধ রাখা উচিত। কারণ তখন আমরা জানতাম না সংক্রমণ থেকে কিভাবে বাঁচা যাবে? কিন্তু এখন আমরা দেখছি সর্তকতা স্বত্তেও ছোটরা আক্রান্ত হচ্ছে। আবার তারা বাইরেও বেরোচ্ছে। যেহেতু আমরা জানি না এই সংক্রমণ কতদিন চলবে এই অবস্থায় সরকারের উচিত প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া। প্রায় দু’বছর হতে চলল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাচ্চারা না যাওয়ার ফলে তারা জীবনের একটা বড় সময় মিস করছে। যখন বাচ্চাদের মানসিক গঠন ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলি স্কুলের সঙ্গে জড়িত তখন এতগুলো দিন স্কুলের বাইরে থাকা শিশুমনের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
চিকিৎসক গোপাল কৃষ্ণ ঢালী জানিয়েছেন– এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা উচিত কি উচিত না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। বিজ্ঞানের দিক থেকে আমি বলব যতটা সম্ভব আমাদের জীবন বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক করা দরকার। মহারাষ্টেÉর রাজ্য সংক্রমণ থাকা সত্বেও যখন স্কুল খুলতে পেরেছে তখন আমার মনে হয় সরকারের বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখা উচিত।
বিশিষ্ট চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ এখনই সরাসরি স্কুল খোলা উচিত কি উচিত নয় কোন সিদ্ধান্তে আসতে নারাজ। তবে বিশ্বের অনেক দেশ এই মুহূর্তে লকডাউন ছেড়ে নর্মাল জীবনযাপনের দিকে এগোচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশে কটা রাজ্য সরকার কী ভাবছে সেটা জানা জরুরী। স্কুল খোলা থাকুক অথবা বন্ধ থাকুক সংক্রমণকে ছোটদের কাছে পৌছানো থেকে আটকানো সম্ভব নয়। স্কুল বন্ধ না রেখে কিভাবে ছোটদের সুরক্ষিত করা যায় সে বিষয় ভাবনা চিন্তা করা যেতে পারে।