পুবের কলম প্রতিবেদকঃ নিয়োগে গরমিলের অভিযোগে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
উল্লেখ্য, ২১ জুন ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর এর পর থেকে একের পর এক অভিযোগ কমিশনের দফতরে জমা পড়তে থাকে। একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টেও মামলা দায়ের করেন চাকরী প্রার্থীরা।
বুধবার সেই মামলার শুনানিতে আদালত সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে। এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, যখন কোনও নিয়োগ হচ্ছে, ঠিক তখনই কেউ না কেউ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে। ৩৫ হাজার ছেলে মেয়ের ভবিষ্যত নষ্ট করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্চ প্রাথমিক মিলিয়ে ৩২ হাজার বেশি পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন। উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ শুরু হতেই পুনরায় জট তৈরি হয়। এই নির্দেশের পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের জরুরি বৈঠক হয়। ইতিমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গেও শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের কথা হয়।
উল্লেখ্য– নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেই প্রার্থীদের একাংশ বেনিয়মের বিভিন্ন অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা। তাঁদের অভিযোগ– পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর বেশি পাওয়ার পর তাঁদের মেধা তালিকায় জায়গা হয়নি। কিন্তু তাদের থেকে অনেকের নম্বর কম রয়েছে– কিন্তু মেধা তালিকাতে জায়গা হয়ে গিয়েছে। আর এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা। এদিন আদালতের মামলার শুনানি হয়। সেই নিয়ে আদালতের কাছে একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই মামলার শুনানিতে স্থগিতাদেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়।
মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাসগুপ্ত জানান– যে ভুলগুলির কারণে আগের তালিকা বাতিল করেছিল হাইকোর্ট– সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। সেই বেনিয়ম ব্যাখ্যা করা হয়েছে আদালতের কাছে।
আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আরও জানান– তাদের হাতে ডজন খানেক পরীক্ষার্থীর ভুলের তথ্য রয়েছে। আদালতের সেগুলি পেশ করা হয়েছে। কিছু প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তি চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে।