পুবের কলম প্রতিবেদক: সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওটিটি প্লাটফর্ম। স্বাভাবিকভাবেই বদলে যাচ্ছে সিনেমা দেখার ধরন। অন্যদিকে এমনিতেই ক্রমশ কমছে সিনেমা হল। যে ক’টাই বা বেঁচে আছে সেগুলি চলছে তো? বাংলা ছবি ঠিকঠাক চলছে? এবার রাজ্যের সিনেমা হল মালিকদের কাছে এমনই রিপোর্ট চাইল নবান্ন।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সাল অর্থাৎ করোনার দাপট শুরুর ঠিক আগে থেকে চলতি বছর পর্যন্ত রাজ্যের সিনেমা হলগুলিতে মোট কত বাংলা ছবির প্রদর্শন হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বাংলা সিনেমা প্রদর্শন নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর সব মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হলকে চিঠি দিয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথাও বলেছে নবান্ন।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালের পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র (নিয়ন্ত্রণ) আইন বলছে রাজ্যের প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে বাংলা সিনেমার প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অতিরিক্ত অধিকর্তার সই করা ওই চিঠিতে সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ মাস পর্যন্ত কোন হলে কত বাংলা সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে, তা জানাতে হবে মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গেল স্ক্রিনের মালিকদের। রাজ্যের সিনেমা হলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি আইন চালু রয়েছে রাজ্যে।
বাংলা সিনেমাকে উৎসাহ দিতে ২০১৮ সালে সেই আইন সংশোধন করে একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার। সেই নির্দেশিকা মতে- জিটিএ এলাকা বাদ দিয়ে রাজ্যের সর্বত্র প্রত্যেকটি সিনেমা হল এবং মাল্টিপ্লেক্সকে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে বছরে অন্তত ১২০ দিন ন্যূনতম একটি শোয়ে বাংলা সিনেমা দেখানো বাধ্যতামূলক। অভিযোগ, হিন্দি এবং ইংরাজি সিনেমার দাপটে বাংলা ছবির ঠাঁই হচ্ছে না। নানা কারণে উzপেক্ষিত থাকছে বাংলা ছবি। তাই ব্যবস্থা হিসাবে তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।