ইনামুল হক, বসিরহাট: চন্দ্রযান ৩ অভিযানের সাফল্যের পর এক এক করে বেরিয়ে আসছে বাঙালি, বিজ্ঞানী, গবেষক তথা এই অভিযানের কারিগরদের নাম।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়ার রামচন্দ্র পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর গ্রামের জয়ন্ত পাল।২০১৮ সালে ইসরোতে বিজ্ঞানী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ এর কারিগর হিসেবে নিযুক্ত হয়ে সাফল্য না এলেও অদম্য ইচ্ছা শক্তির কাছে এবারে চাঁদমামা ধরা দিল তার কাছে। চন্দ্রযান ৩ চাঁদে সফলভাবে অবতরণ এর কলাকুশলী বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম কারিগর ছিলেন জয়ন্ত পাল। বাবা অর্ধেন্দু পাল। ছোট ব্যবসায়ী। আর্থিক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ছেলের স্বপ্ন পূরণ করার লড়াই চালিয়েছেন।
মা আলপনা পাল ছোটবেলা থেকে ছেলেকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন।মা আলপনা জানান, রামচন্দ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ার পর তেঁতুলিয়া উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে। এরপর বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে গণিতে স্নাতক হওয়ার পর অল ইন্ডিয়া জয়েন্ট এন্ট্রান্স অফ ম্যাথমেটিক্স পরীক্ষা দিয়ে খড়গপুর আই আই টি তে ভর্তি হন। এখান থেকেই এম টেক, পিএইচডির পর জার্মানিতে চাকরির সুযোগ এলেও তিনি ২০১৮ সালে ইসরোতে গবেষক হিসেবে কাজে যোগ দেন।
স্হানীয় জন প্রতিনিধি থেকে গ্রামবাসীরা ফুল মিষ্টি শুভেচ্ছা জানাতে পাল দম্পতির বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন। রামচন্দ্রপুর উদয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সফিকুল মন্ডল বলেন, নিঃসন্দেহে জয়ন্ত পাল আমাদের গর্ব। তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। ঘরে ফিরলে তাঁকে সংবর্ধনা জানাবো। জয়ন্ত তাঁর পরিবারকে জানিয়েছে, এবার সূর্য
অভিযানে আদিত্য এল ওয়ান সূর্যের দিকে রওনা দেওয়ার পর দুর্গাপুজোতে বাড়ি ফিরবেন। জানা গেছে, সূর্যযান আদিত্য এল ওয়ান আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ২ তারিখে সূর্যের দিকে রওনা দেবে।
ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন পৃথিবী দেখে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানের কক্ষপথ ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট এ ঘাঁটি গাড়বে আদিত্য। ওখান থেকে তুলে আনবে সূর্যের বাইরের সবচেয়ে উত্তপ্ত স্তর করোনার যাবতীয় তথ্য। সোলার করোনার খবরাখবর তুলে আনার এই প্রজেক্টে ডাক পেয়েছেন বাদুড়িয়ার গবেষক জয়ন্ত পাল। তার সাফল্য কামনা করছে গর্বিত জয়ন্ত পালের বাবা-মা। তাঁরা জানান চন্দ্রযান থ্রির মত আদিত্য এলওয়ানে নিযুক্ত হয়েছে তাদের সন্তান। যাতে সাফল্য পাওয়া যায় তার জন্য দিনরাত এক করে তার প্রজেক্ট তৈরি করছে। এই গবেষক কখনো ১২ ঘন্টা কখনো আবার ১৪ ঘন্টা দিন রাত এক করে এই মিশন সম্পূর্ণ করতে নেমে পড়েছেন। তাই আগামী ২ সেপ্টেম্বর গোটা দেশের সঙ্গে দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলার এই কৃতি সন্তানের পরিবারও। নতুন পালকের অপেক্ষায় দিন গুনছে ১৪০ কোটি ভারতবাসী।