ঢাকা: বাংলাদেশে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার মাস পার হয়েছে। এরই মধ্যে এই সরকারকে নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পলাতক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ফিরতে ‘স্যাবোটেজ’ করছে কি না তা নিয়ে জল্পনা চলছে। এরই মধ্যে বুধবার রাতে ঢাকায় ঘটল এক ভয়ংকর ঘটনা। বাংলাদেশ সরকারের অফিসিয়াল কর্মক্ষেত্র সচিবালয়ে ঘটল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ১১ ঘণ্টা পর আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই কমিটি গঠন করা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সুরক্ষিত দপ্তর বাংলাদেশ সচিবালয়। আর এই দপ্তরে মধ্যরাতে আগুন লাগার ঘটনা জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের। বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগে।
Read More: হাসিনাকে ‘ফেরত’ চেয়ে ভারতকে চিঠি বাংলাদেশের
এদিকে বুধবারই জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি করে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন আমলারা। প্রশাসনে এমন চলমান অস্থিরতার মধ্যেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। এটি নাশকতা, না-কি স্বাভাবিক অগ্নিকাণ্ড এ নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। এ ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি জানান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রকের বিগত সময়ে হওয়া অর্থলোপাট, দুর্নীতি নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনো জানা যায়নি। আমাদেরকে ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।
আগুন পরিকল্পিতভাবে লাগানো হয়েছে বলে মনে করেন সচিবালয়ের কাছে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, যে আগুনটা লেগেছে, সুনিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারেন এটা সুপরিকল্পিত। সচিবালয়ের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ের ভেতরে একশ থেকে দেড়শ সিকিউরিটি গার্ড থাকে। আগুন লাগার পর কি একজনেরও চোখে পড়েনি। এটা কীভাবে সম্ভব।’ উল্লেখ্য, এ ঘটনায় সচিবালয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাকচাপায় মো. সোহানুর জামান নয়ন (২৮) নামে এক ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিহত হয়েছেন। তেজগাঁও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে কর্মরত ছিলেন তিনি।