নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে ফের দেশে ফিরে এসেছেন শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী শিল্পী বারুরী। তিনি এই পর্যন্ত প্রায় আটটি দেশে ভারতনাট্যম শাস্ত্রীয় নৃত্য পরিবেশন করেছেন অনেকবার।তিনি প্রথম বাঙালি নৃত্যশিল্পী যে মাত্র ১৮ বছর বয়সে লন্ডনের স্যাডলার্স ওয়েলস থিয়েটার হলে নৃত্য পরিবেশন করে ভরতনাট্যমকে বিশ্বের দরবারে নতুন করে পরিচয় করিয়েছেন।
শিল্পী বারুরী ধ্রুপদী আঙ্গিকের সীমানা ছাড়িয়ে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি করেছেন নিজস্ব ঘরানা। নাচ নিয়েই সর্বক্ষণ তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা। শিল্পী দীর্ঘদিন নৃত্যচর্চার তালিম নিয়েছেন থাঙ্কমণি কুট্টির কাছে। আলী আকবর,ওস্তাদ রশিদ খানসহ একাধিক উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পীর গানে তিনি নৃত্য পরিবেশন করেছেন। দুই বাংলায় একসময়ে অসম্ভব জনপ্রিয় শিল্পী বারূরী।ফের তিনি কলকাতায় এসেছেন দর্শক ও সংগঠকদের অনুরোধে। তাঁর অসংখ্য ছাত্রী দেশে বিদেশে নৃত্যশিল্পী হিসেবে নাম করেছে। তাঁর স্বপ্নের নৃত্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র “চিদাম্বরম”।
তার প্রতিষ্ঠিত নৃত্য কেন্দ্রে তিনি ছাত্রীদের ভরতনাট্যমের প্রাচীনত্বের সঙ্গে নতুন চিন্তাভাবনা জুড়ে আরো আধুনিক করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।তিনি বহু ডান্স কোরিওগ্রাফি নিজের ভাবনায় তৈরি করেছেন।নৃত্য পরিবেশনের পাশাপাশি বহু দেশে ওয়ার্কশপ করার আমন্ত্রণে তিনি গিয়েছেন ইংল্যান্ড,স্পেন জার্মান,কানাডা,অস্ট্রেলিয়া সহ বেশ কয়েকটি দেশে। তিনি ভারত এবং বাংলাদেশে যথাক্রমে ইন্টারন্যাশনাল মাদার টেরেসা অ্যাওয়ার্ড ও বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত হয়েছেন। সম্প্রতি তিনি কোচবিহার বইমেলা ও সুন্দরবন উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করে উচ্চ প্রশংসিত হন এবং দুই উৎসবের পারিশ্রমিক তিনি শিশুদের শিক্ষা প্রসারে দান করেন।