তিরুঅনন্তপুরম, ১৯ নভেম্বর: পতঞ্জলির ওষুধে অবিশ্বাস্য কাজ হবে, ঠিক যেন মিরাক্যাল। অভিযোগ, পতঞ্জলির এই ধরনের বিজ্ঞাপন বিভ্রান্তিকর। আর এই ধরনের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা যোগগুরু বাবা রামদেবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল কেরলের এক আদালত।
ওষুধ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন বিষয়ক আইন লঙ্ঘন করার অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য এই গ্রেফতারি পরোয়ানাটি জারি করেছে পলাক্কাড বিচারবিভাগীয় ফার্স্ট-ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। রামদেবের পাশাপাশি সংস্থার অপর কর্ণধার বালকৃষ্ণর বিরুদ্ধেও এই ধরনের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। কেরলের ড্রাগ কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্ট (ওষুধ নিয়ন্ত্রণ দফতর)-এর তরফে কেসটি করা হয়েছিল।
এই মামলায় রামদেবকে সমন পাঠানো হয়েছিল আদালতের ১৬ জানুয়ারির শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য। কিন্তু, রামদেব উপস্থিত না হওয়ায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করে এবং জানায়, গ্রেফতারি এড়াতে চাইলে তিনি যেন ১ ফেব্রুয়ারি আদালতে জামিন চাইতে উপস্থিত হন। রামদেব ও বালকৃষ্ণ হচ্ছেন যথাক্রমে ‘দিব্য যোগ মন্দির ট্রাস্ট’-এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
সংস্থাটি ১৯৫৪ সালের ওষুধ ও ম্যাজিক উপশম আইনের ৩ (ডি) ধারায় আইনি ঝঞ্ঝাটে পড়েছে। জনস্বাস্থ্য কর্মী তথা ডা. কে ভি বাবুর দায়ের করা একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর মামলাটি করে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের অক্টোবরে কেরলের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ দফতর পতঞ্জলি গোষ্ঠীর এই ধরনের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে।
সারা দেশে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা হয়েছে তার মধ্যে ১০টি মামলা হয়েছে শুধু কেরলেই। কেরলের পালাক্কাদে ৩টি, এর্নাকুলামে ২টি, তিরুঅনন্তপুরমে ১টি সহ একাধিক জেলায় পতঞ্জলি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।